প্রিয় নাহিদ,
আশা করি সুস্থ আছিস। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজ তোকে খুবই মজার একটি ঘটনা নিয়ে লিখছি। তিন সপ্তাহ আগে আমাদের পরিবারের সবাই মিলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমার যে নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে তা নিয়ে লিখছি।
শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে আব্বু, আম্মু, ভাইয়া আর আমি চিড়িখানার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ি। চিড়িয়াখানায় এসে টিকেট কিনে সরাসরি ভিতরে ঢুকে পড়ি।
ভিতরে ঢুকে প্রথমেই চোখে পড়ে দুষ্টু বানরের দিকে। খাঁচার মধ্যে পাশাপাশি কয়েক প্রজাতির বানর ছিল। বানরগুলো মানুষ দেখে জোরে জোরে চিৎকার করছিল। বানরের খাঁচার পাশেই ছিল হনুমানের খাঁচা। লম্বা লেজ দিয়ে তারাও লাফিয়ে বেড়াচ্ছিল। তাছাড়া ঘন-কালো লোমবিশিষ্ট ভালুক আমাদের দেখে দুই পায়ে দাঁড়িয়ে তেড়ে আসছিল। একটু হেঁটে যেতেই বাঘ মামার দেখা পেয়ে গেলাম। তাকে কাছ থেকে দেখতে গিয়ে ভাইয়া, আব্বুর বকা খেলাম।
তার পাশে ছিল সিংহ মামার খাঁচা। জোরালো গর্জনে সে যেন বলতে চাইছিল সে হলো এখানকার রাজা। বাঘ সিংহ দেখা শেষে চলে গেলাম তাদের প্রিয় শিকার হরিণের কাছে। এরপর পালা করে কুমির, অজগর, কচ্ছপ, শিয়াল, জিরাফ, জেব্রা, ক্যাঙ্গারু, গন্ডার, টিয়া, বক, শালিক, জলহস্তি আরো কতো কি দেখলাম তা বলে শেষ করা যাবে না। মনে হচ্ছিল পুরো দিন যেন এইখানেই থেকে যাই।
আজ আর নয়, আংকেল ও আন্টিকে আমার সালাম দিস।
-- ইতি
মো: আবু বক্কর সিদ্দিক
কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম
আরও পড়ুন : মাত্র একটি চিঠিতে বদলে গেছে সেসব সাহিত্যিকের জীবন
এস/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন