ছবি: সংগৃহীত
নতুন দায়িত্ব নেওয়া পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুস সালাম বলেছেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় একটা মহাসাগর, মাত্র ৫ দিনে সাঁতার কাটা অত্যন্ত দুষ্কর ব্যাপার। পরিকল্পনা কমিশনের কাজ বোঝার জন্য ও জানার জন্য আমাদের আরও সময় লাগবে।
রোববার (২১শে জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি মিলনায়তনে সদ্য সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রসঙ্গে আব্দুস সালাম বলেন, সবে মাত্র এই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। সব কিছু বুঝতে কিছুটা সময় লাগবে। আমি মূলত একজন সৈনিক মানুষ। আমি সেনাবাহিনীতে ২৯ বছর চাকরি করেছি। বাকি সময় রাজনীতি করেছি সাধারণ মানুষের কাছে থেকেছি এখানের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত কম।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে পরিকল্পনা কমিশনের যে প্রজেক্টস আছে সেই প্রজেক্টের চাপায় পড়ে আছি। এখান থেকে বের হতে পারছি না এখনো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু সহজ হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। কারণ আমি কাজের মানুষ।
সদ্য বিদায়ী পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রশংসা করে আব্দুস সালাম বলেন, তাকে আমি আগে থেকেই জানি। তার সাথে আমার আগে থেকেই পরিচয় ছিল। তিনি যথাযথভাবে এখানে মেধার পরিচয় দিয়েছেন। তার যে সহকর্মী ছিলেন শামসুল আলম সাহেব তাদের প্রচেষ্টায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অনন্য উচ্চতায় গেছেন।
আব্দুস সালাম বলেন, গত ৫ থেকে ৭ দিনে আমি যা দেখতে পাচ্ছি ওনারা অনেক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। সচিবদের আমি ধন্যবাদ জানায় তাদের বক্তব্যে দুজন সাবেক মন্ত্রীকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আমি তাদের সঙ্গে একমত এই মন্ত্রণালয়ে তাদের মতামত সব সময় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে প্লট-টু-প্লট বিডিএস ম্যাপ প্রস্তুতের কাজ শুরু: ভূমিমন্ত্রী
নতুন মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বিদায় দিচ্ছি না, আমরা তাদের আবারও ফিরে আসার সুযোগ করে দিচ্ছি। আমরা চাইব তারা আমাদের কাজে নানাভাবে সহায়তা করেন। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটা স্মার্ট বাংলাদেশ হবে এই কাজে আমাদের সবাইকে স্মার্টভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় সদ্য বিদায়ী পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এই মন্ত্রণালয়ে ১০ বছর সময় পার করেছি। সচিবালয়ের মতো পরিকল্পনা কমিশনের চত্তরের পরিবেশ নয়। এখানের পরিবেশ অনেক মনোরম। নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে আমার কয়েকবার পরিচয় হয়েছে অনেক আগ থেকে। উনি যখন কুমিল্লার জিওসি ছিলেন তখন উনার সহায়তা চেয়ে ফোন করেছি। দ্রুত সময়ে সেই সহায়তা পেয়েছি গ্রামের মানুষের জন্য। এটা বিদায় নয় বিভিন্ন জায়গায় দেখা হবে।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার, আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনসহ সংশ্লিষ্টরা।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন