সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫২০৬ *** খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত নেতানিয়াহু *** বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক: গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত *** পাকিস্তানকে উড়িয়ে ৯ বছর পর জিতল বাংলাদেশ *** এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হওয়ার বিষয়ে তিন দলের ভিন্ন প্রস্তাব *** এত ‘নির্দোষ, নিরপরাধ, নিষ্পাপ’ সরকার আমি দেখিনি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে কোটালীপাড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন *** গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার *** পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা *** শুটিংয়ে আহত হননি শাহরুখ

আমেরিকা ৭৯ বছর আগেও কিনতে চেয়েছিল গ্রিনল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:১৩ অপরাহ্ন, ২৭শে জানুয়ারী ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

সদ্য শপথ নেওয়া আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কিনে নিতে চান। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আগ্রহও রয়েছে তার। এ জন্য জোরেশোরে আলোচনা শুরু করছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ১৯৪৬ সালেও ডেনমার্কের কাছ থেকে গ্রিনল্যান্ড কিনতে তখনই একটি প্রস্তাব সামনে এনেছিলেন আমেরিকার কর্মকর্তারা। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিতে এগেদে গত ১৩ই জানুয়ারি বলেছেন, আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও খনি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে কাজ করবে গ্রিনল্যান্ড। তবে আমেরিকার অংশ হওয়ার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করে এগেদে বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড স্বাধীনতা চায়। এটি বিক্রির জন্য নয়।’

কোনো বিদেশি ভূখণ্ড কেনা কিংবা বলপ্রয়োগে অধিগ্রহণ করাটা একুশ শতকের বিশ্বের সঙ্গে একেবারে যায় না। যদিও গ্রিনল্যান্ডের বিষয়টি ট্রাম্পের আরেকটি আপত্তিকর পদক্ষেপের চেয়েও বেশি কিছু; ঘটনাক্রমে কানাডাকে আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত করার কথাও বলেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের কাছে গ্রিনল্যান্ড লোভনীয় আবাসন ব্যবসার চেয়েও বেশি কিছু, যা তার নজরে এসেছে বলে ধারণা করা হয়।

ট্রাম্প এবারই প্রথম গ্রিনল্যান্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা বললেন, এমনটা নয়। এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে কথা বলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।

ডেনমার্ক ১৯৪৬ সালে চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে। ততদিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে। ডেনমার্কের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুস্তাভ রাসমুসেন বলেছিলেন, ‘আমরা আমেরিকার কাছে অনেক ঋণী। তবু আমি মনে করি না, আমরা পুরো গ্রিনল্যান্ড দ্বীপের জন্য তাদের কাছে ঋণী।’

১৯৪৬ সালে আমেরিকা যখন গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল, তখন সেটা করা হয়েছিল নিরাপত্তা বিবেচনার নিরিখে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর্কটিক অঞ্চলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব ‘কমাতে’ গ্রিনল্যান্ড নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিল ওয়াশিংটন।

গ্রিনল্যান্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের চেষ্টার পেছনে আমেরিকার অনেক উদ্দেশ্য রয়েছে। তবে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বারবার দ্বীপটি নিয়ে আগ্রহ দেখানোর বড় কারণ গত এক দশকে এখানে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি।

শান্তনু/কেবি


ডোনাল্ড ট্রাম্প

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন