ছবি: সংগৃহীত
জীবদ্দশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘ভাষা আন্দোলন স্মৃতি জাদুঘর’ দেখে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেছেন, ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে। ভাষা আন্দোলনের মিটিং হয়েছিল বর্তমান জহুরুল হক হলের পুকুর পার থেকে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের ইতিহাসকে ভিত্তি করে পাঞ্জাবের অমৃতসর একটি জাদুঘর করা হয়েছে।
ঠিক একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি জাদুঘর করা হোক। জীবদ্দশায় তা দেখে যেতে চাই।
বুধবার (২৮শে ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুলা) -এর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা ভাষার মাস। এই মাসে আমরা অনেক অনুষ্ঠান করে থাকি। এই অনুষ্ঠানগুলো আমরা বাংলায় করি। বাংলায় কথা বলার ওপর একটি চাপ আছে।
বিশেষ করে আমরা যারা এই আইন অঙ্গণে আছি তাদের ওপর একটি বাড়তি চাপ আছে। উচ্চতর আদালতে কেন বাংলা ভাষার প্রচলন নেই বা বাংলা ভাষা কম কেন, সেই প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে
তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানোর। আমাদের বন্ধুরা অনেকেই বাংলা ভাষায় রায় দেওয়ারও চেষ্টা করছেন।
সংগঠনের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান, বিচারপতি ফরিদ আহেমেদ, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শ ম রেজাউল করিম, মাহবুব আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীনসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডুলার সাধারণ সম্পাদক কাজী জয়নাল আবেদীন।
এসকে/