ছবি: সংগৃহীত
জামালপুরের বকশীগঞ্জে এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামী টানাটানি শুরু করেছে। দুজনই দাবি করছেন তারা বৈধ স্বামী।
রোববার (১৭ই মার্চ) এ নিয়ে ধ্বস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে।
জানা যায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল সদর ইউনিয়নের ভাটিচারিয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে হৃদয় মিয়া দেড় বছর আগে ঈশ্বরগঞ্জ থানার সরিষা ইউনিয়নের সরিষা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে ছালমা আক্তার মীমকে শরিয়া মোতাবেক অভিভাকদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন।
দেড় বছরের সংসার জীবন তাদের শান্তিতেই চলছিল। গত ৫ই মার্চ মীম স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর থেকেই স্বামী হৃদয় মিয়া স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। ১৫ই মার্চ মীম তার স্বামী হৃদয় মিয়ার মোবাইলে কল দিয়ে জানান, তিনি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের আওয়ালপাড়া গ্রামে সাহা মিয়ার ছেলে শামীম মিয়ার কাছে অবরুদ্ধ আছেন। খবর পেয়ে হৃদয় মিয়া রোববার (১৭ই মার্চ) আওয়ালপাড়ায় গিয়ে শামীমের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ শহরে নিয়ে আসেন।
পরে এ ঘটনায় সালিশ বসে। সালিশে মীম তার স্বামী হৃদয় মিয়ার সঙ্গে চলে যেতে চান। এ সময় শামীম মিয়া উপস্থিত লোকজনকে একটি কাবিননামা দেখিয়ে জানান, ছালমা আক্তার মীম তার পূর্বের স্বামী হৃদয় মিয়াকে তালাক দিয়েছেন। এর ৩ দিন পর মীমকে আমি বিয়ে করি।
শামীম মিয়া দাবি করেন, মীম তার বিবাহিত স্ত্রী। তবে মীমের দেওয়া তালাকনামার কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি ২য় স্বামীর দাবিদার শামীম। সালিশের একপর্যায়ে শামীম মিয়া উপস্থিত লোকজনের সামনেই প্রকাশ্যে মীমকে ও তার স্বামী হৃদয় মিয়াকে মারধরের হুমকি দেয়। পরে সবার সামনেই জোর করে মীমকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান শামীম মিয়া।
হৃদয় মিয়া জানান, নান্দাইল থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলার আওয়ালপাড়া গ্রামে যাওয়ার পর আমি স্ত্রীর সন্ধান পাই। তাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে আসার পর কয়েকজন লোক আমাদের গতিরোধ করে। পরে সালিশ বসিয়ে উপস্থিত লোকজন আমার স্ত্রীকে শামীমের হাতে তুলে দেয়। পরে প্রকাশ্যে শামীম উপস্থিত লোকের সামনেই আমার স্ত্রীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়। এখন আমার স্ত্রী কোথায় কী অবস্থায় আছে আমি জানি না। তারা যেকোনো সময় আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলতে পারে। আমি আমার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য আইনের আশ্রয় নেব।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি কিছু জানি না। কেউ আমার কাছে বিচার নিয়ে এলে আমি ন্যায়বিচার করতে বাধ্য হব। থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।
ওআ/