ছবি: সংগৃহীত
আমরা প্রশাসনে এবং নির্বাচন কমিশনে যারা আছি, তারা কারসাজির ‘ক’ও বুঝি না বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
আজ সোমবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ‘রাকসু কী এবং কেন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, '‘বর্তমানে অনেকে নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছেন যে অমুকে এই কারসাজি করছে, তমুকে সেই কারসাজি করছে। আমরা প্রশাসনে এবং নির্বাচন কমিশনে যারা আছি, তারা কারসাজির ‘ক’ও বুঝি না।’'
উপাচার্য বলেন, ‘সারা জীবনে আমি কোনো কারসাজি করিনি এবং ভবিষ্যতেও কোনো কারসাজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। কাজেই এই আস্থাটা আপনাদের রাখতে হবে।’
সালেহ নকীব বলেন, প্রায় ৩৫ বছর পর আমরা রাকসু নিয়ে কাজ করছি। সবার সহযোগিতায় আমরা আশা করছি যেন একটি সুন্দর পরিবেশে রাকসু নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারি। আমরা যে পর্যায়ে এসেছি এখানে আসাটা সহজ ছিল না, সবার দাবি-দাওয়া ও বাধা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা এ পর্যন্ত এসেছি। সবাই সহযোগিতা করলে বাকি পথটুকুও আমরা সঠিকভাবে পাড়ি দিতে পারব।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের মূল দায়িত্ব হলো একটি ভালো পরিবেশে সবার জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা এবং ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠিত করা। এই নির্বাচনে কে হারবে বা জিতবে, কাদের কী মতাদর্শ—সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা চাই আমাদের ছাত্রছাত্রীরা যেন নির্ভয়ে তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলো প্রকাশ করতে পারে এবং ভোট দিতে পারে।’
প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মানার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধিগুলো তোমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। সবাই একটা জিনিস মনে রাখবে, জিততে গেলে হারতে শিখতে হয়।
সেমিনার সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. পারভেজ আজহারুল। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান বলেন, ডাকসু জাকসু নির্বাচন হওয়ার পর রাকসু এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। ছাত্রদের দাবি-দাওয়াগুলো প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা বা চাপ প্রয়োগ করে দাবি আদায় করার জন্য রাকসু নির্বাচন অপরিহার্য।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দীন ও অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ। উপস্থিত ছিলেন রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ও প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. সেতাউর রহমান।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন