শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাকসুতে ২৩ পদের মধ্যে ২০টিতেই শিবিরের জয় *** দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ *** রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয় *** রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে আজ *** জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা *** ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তরের মানুষ... *** সব গণমাধ্যমকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** ‘লং মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি দিলেন শিক্ষকরা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুক্রবারই, বাদ পড়লে পরেও স্বাক্ষর করা যাবে: আলী রীয়াজ *** সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আদানির ‘সম্পূর্ণ’ বকেয়া পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০১:০০ অপরাহ্ন, ২রা জুলাই ২০২৫

#

ছবি: এএফপি

বাংলাদেশ সরকার গত জুন মাসে আদানি পাওয়ারকে আরও ৪৩৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এর মাধ্যমে ভারতের এ কোম্পানির কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিপরীতে চলতি বছরের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত যে বকেয়া ছিল, তা ‘সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ’ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, এটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পাওয়া তাদের সবচেয়ে বড় এককালীন অর্থ। এর আগে প্রতি মাসে বাংলাদেশ থেকে তারা ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার পেতো তারা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বকেয়া বিল, বিলম্ব সুদ ও অন্যান্য খরচ মিলে সব অর্থ পরিশোধ হওয়ার পর আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তদেশীয় বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি আবারও আর্থিক ও আইনি দিক দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ চুক্তির ব্যাপারে যেসব প্রশ্ন উঠেছিল, সেগুলোও মিটে গেছে বলে জানানো হয়েছে।

ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করছে আদানি পাওয়ার। সূত্র জানিয়েছে, সব পাওনা পরিশোধ হওয়ায় এখন ঢাকা কর্তৃপক্ষ আদানিকে নির্দেশ দিয়েছে, ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিটই (মোট ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট) যেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চাহিদা অনুযায়ী চালু রাখা হয়।

আদানি ও বাংলাদেশের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল, তাতে বলা হয়—গত অর্থবছরের বকেয়া ৩০শে জুনের মধ্যে পরিশোধ করলে বিলম্ব মাশুল মাফ করা হবে। বাংলাদেশ সে অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ করেছে। এখন থেকে সময়মতো বিল পরিশোধ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ দুই মাসের বিলের সমপরিমাণ প্রায় ১৮০ মিলিয়ন ডলারের একটি এলসি এবং বাকি সব পাওনার জন্য রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি দিয়েছে।

চলতি বছরের মে মাসে ইকোনমিক টাইমসের আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের বকেয়ার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার। বিলম্বে পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত ১৩৬ মিলিয়ন ডলার বিল করা হয়।

তবে আদানি পাওয়ারের প্রধান নির্বাহী এসবি খ্যালিয়া জানান, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কোনো সময় বন্ধ হয়নি। ২০২৫ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে আদায়যোগ্য পাওনা ৫০০ কোটি রুপি কমে গেছে।

আদানি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250