জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সম্পর্কিত জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৫তম সভা কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ঠা জুলাই) পররাষ্ট্র সচিব ও জাতীয় টাস্কফোর্সের সভাপতি মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই সভা।
সভায় কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন- কক্সবাজার ও ভাসানচর ক্যাম্পের সমস্যা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগনের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের ৭০০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়নসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভাপতি মাসুদ বিন মোমেন জোর দিয়ে উল্লেখ করেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসন এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। সভায় এলপিজি, খাদ্য, চিকিৎসা, পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন সেক্টরে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে অধিকতর ও কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানানো হয়।
রাখাইনে প্রত্যাবাসন-সহায়ক পরিবেশ তৈরী করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয় সভায়। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের চলমান কর্মসূচী সম্পর্কে সংস্থাটির প্রতিনিধিগণ অবহিত করেন। এসময় জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ৪৫তম জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় যোগদানের পূর্বে পররাষ্ট্র সচিব কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেন। তিনি সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি, দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মকান্ড, প্রত্যাবাসন কেন্দ্র ইত্যাদি পরিদর্শন করেন।
সভায় জাতীয় টাস্কফোর্সের সদস্য বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এইচআ/