ছবি: সংগৃহীত
বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে অন্তত এইচএসসি পাস বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। এইচএসসি পাসের নিচে কোনো ব্যক্তি সভাপতি হতে পারবেন না। এমন বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের অধিবাসী আতিকুর রহমানের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সম্প্রতি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওয়াজি উল্লা।
রিটে বেসরকারি স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে এইচএসসি সমমানের নিচে প্রার্থী হতে পারবে না সংক্রান্ত প্রবিধান কেন বাতিল করা হবে না- সে বিষয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রোববার (৭ই জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈত বেঞ্চে রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওয়াজি উল্লা ও সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে।
গত ৯ মে এক গেজেট জারি করে সরকার। এতে উল্লেখ করা হয়, বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে অন্তত এইচএসসি পাস হতে হবে। একই ব্যক্তি পরপর দুইবারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ‘ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪’ জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব একটি ম্যানেজিং কমিটির ওপর ন্যস্ত থাকবে। নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে হলে কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমানের (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তা না হলে কেউ সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরপর দুইবারের বেশি সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি বা অভিভাবক প্রতিনিধি হতে পারবেন না। তবে এক মেয়াদ বিরতি দিয়ে পুনরায় নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন।
কেবি/ আই.কে.জে/