সোমবার, ২১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত নেতানিয়াহু *** বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক: গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত *** পাকিস্তানকে উড়িয়ে ৯ বছর পর জিতল বাংলাদেশ *** এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হওয়ার বিষয়ে তিন দলের ভিন্ন প্রস্তাব *** এত ‘নির্দোষ, নিরপরাধ, নিষ্পাপ’ সরকার আমি দেখিনি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে কোটালীপাড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন *** গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার *** পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা *** শুটিংয়ে আহত হননি শাহরুখ *** ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে গ্যাসক্ষেত্র থেকেই বছরে আয় করবে ৪০০ কোটি ডলার

চীনের নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের গাড়ির বাজার

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:২২ অপরাহ্ন, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি - সংগৃহীত

চীন বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারক হিসেবে ক্রমেই নিজের পরিচয় তুলে ধরছে। চীনা কোম্পানি ‌‌'বিওয়াইডি' ভলিউমের দিক থেকে এরই মধ্যে টেসলাকে ছাড়িয়ে গেছে। চীনে এক সময় বিদেশি কোম্পানিগুলোর ব্যাপক আধিপত্য ও প্রতিযোগিতা ছিল। কিন্তু এখন সেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে বিওয়াইডি। শুধু বিওয়াইডি নয়, চীনের অন্যান্য গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি যেমন চেরি, গিলি ও সাইক তাদের দেশকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করেছে।

গার্টনার কনসালটেন্সির পেদ্রো পাচেকো বলেন, চীনের গাড়ি নির্মাতারা এখন বিশ্বব্যাপী গাড়ি শিল্পের শীর্ষে থাকা ভক্সওয়াগন ও টয়োটাকে হটিয়ে দিতে চায়। রপ্তানি আরও সম্প্রসারণ তাদের মূল লক্ষ্য।

সিটিগ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর চীন থেকে বিদেশে ৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন গাড়ি রপ্তানি করা হয়েছে। যা তিন বছর আগের তুলনায় তিনগুণ বেশি। বলা হচ্ছে, এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে ও ২০৩০ সালে রপ্তানি করা গাড়ির সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ৩ মিলিয়নে।

ফলে বর্তমান গাড়ি নির্মাতাদের মধ্যে অনেক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় রাস্তায় চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ক্রমবর্ধমান সংখ্যার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। যদিও চীনের গাড়ি রপ্তানির অধিকাংশই অভ্যন্তরীণ-দহন ইঞ্জিন (আইসিই) দ্বারা চালিত হয়। তাছাড়া এসব গাড়ির গন্তব্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পশ্চিম ইউরোপ বা আমেরিকা নয়, বরং বিশ্বের বাকি অংশে।

একসময় চীনা গ্রাহকরা বেশিরভাগ বিদেশি ব্র্যান্ড বেছে নিতো, কিন্তু আজকাল দেশীয় গাড়ি নির্মাতারা অভ্যন্তরীণ বিক্রির ক্ষেত্রে প্রায় তিন-পঞ্চমাংশ অবদান রাখছেন। তার মানে হলো চীনের কোম্পানিগুলো শুধু নিজেদের বাজাররই নিয়ন্ত্রণে নেয়নি, বিশ্ব বাজারও এখন তাদের দখলের পথে।

তাদের এই উত্থানের অন্যতম কারণ হলো কম দামে বিক্রি। ভর্তুকি এবং অন্যান্য সরকারি প্রণোদনা থাকায় কোম্পানিগুলোর গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে বড় সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। চীনা কারখানাগুলো বছরে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন গাড়ি তৈরি করতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী বিক্রির প্রায় অর্ধেকের সমান।

আই.কে.জে/

চীনের গাড়ির বাজার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন