ছবি: সংগৃহীত
আফছার বাহার
আলী রীয়াজের পরিচয় দিতে গিয়ে প্রথম আলো লিখে থাকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির 'ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর'। প্রথম আলো সব কিছুতেই বাংলায় ব্যবহারে করে। কোনো শব্দের বাংলা না থাকলে সে ঠিকই বাংলা চালু করে নেয়। কিন্তু ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর-এর বাংলা করে না কেন পত্রিকাটি?
অথচ ডিস্টিংগুইশড প্রফেসরের সুন্দর বাংলা হতে পারে ’সম্মানীয় অধ্যাপক’। আবার সিপিডির ডিস্টিংগুইশড ফেলো মুস্তাফিজুর রহমানের বেলায় প্রথম আলো ঠিকই সম্মানীয় ফেলো লিখে। আসল কথা হল, আলী রীয়াজের নামের সাথে 'ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর' লেখা থাকলে যে জবরদস্ত আমেরিকান ভাবটা বেশি জমে, এটা প্রথম আলো ঠিকই বুঝে, তার স্বার্থে।
প্রথম আলো এটাও বুঝে, নিপীড়িত নারীর প্রতি সহানুভূতি উৎপাদন গণমাধ্যমের জন্য খুবই ব্যবসা সফল আধেয় (বিজনেস কনটেন্ট)। ফলে যেখানে নারী নিপীড়ন, সেখানেই সহানুভূতির বিজনেস কনটেন্ট ব্যবসায় ঝাপিয়ে পড়ে পত্রিকাটি। নারীর প্রতি সহানুভূতির ব্যবসার জন্য বহু নিপীড়িত পুরুষের জীবনও যে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, সে খবর প্রথম আলো রাখে না।
এই জায়গায় ডিসটিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজের বেলায় প্রথম আলো ঠিক ব্যতিক্রম। এক নারী আলী রীয়াজের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন (আমি জানি না এর সত্য-মিথ্যা)। কিন্তু প্রথম আলো তার রীতি অনুযায়ী সেই নারীর প্রতি সহানুভূতি উৎপাদনে যায়নি।
প্রথম আলো গত দুই দিন তাই খুব চুপচাপ। কিন্তু আলী রীয়াজ যখনই এই নিপীড়নের অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রতিবাদ করলেন, স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে, তখন প্রথম আলো তা প্রকাশ করতে মুহূর্তেও দেরি করেনি।
লেখক: সাংবাদিক।
খবরটি শেয়ার করুন