সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি পদ থেকে ‘পদত্যাগ’ করলেন নায়িকা মিমি

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:০৪ অপরাহ্ন, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকতে না চেয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন ওপার বাংলার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। 

বৃহস্পতিবার (১৫ই ফেব্রুয়ারি) তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে পদত্যাগপত্র তুলে দেন। এ ছাড়া তিনি আর রাজনীতি করতে চান না বলেও জানিয়েছেন।

আজ বিধানসভায় মমতা বক্তব্য দেওয়ার সময় তার কক্ষে ঢোকেন মিমি। কিছুক্ষণ পর ওই কক্ষে ঢোকেন তৃণমূলের দুই তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী এবং জুন মালিয়া। বক্তব্য শেষ হলে নিজের কক্ষে যান মমতা। তারপর তিনি মিমি এবং বাকিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠক থেকে বের হয়ে মিমি বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে এমপি পদ থেকে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তবে মমতা এখনো সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে তিনি ভারতীয় লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসবেন।

সম্প্রতি সংসদের দুটি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছে মিমি। সংসদের শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রণালয় এবং নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের যৌথ কমিটির সদস্যও। এই দুটি পদ থেকেই তিনি পদত্যাগ করেন।

এরপর জানা যায়, যাদবপুর লোকসভার অধীন নলমুড়ি এবং জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপারসন পদও ছেড়ে দিয়েছেন মিমি। তারপর থেকেই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৪ সালে যাদবপুর থেকে আবারও কি প্রার্থী হবেন মিমি? নিজের ধারাবাহিক পদত্যাগ প্রসঙ্গে অবশ্য এর আগে তিনি মুখ খোলেননি। আজ জানিয়ে দিলেন, আর এমপি থাকতে চান না তিনি।

মিমি বলেন, আমার যা বলার ছিল, দিদিকে (মমতা) বলেছি। অনেকে বলছিলেন, আমি পরবর্তী টিকিট পাকা করার জন্য এটা করছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়।

এর ব্যাখ্যা দিয়ে গুণী এ অভিনেত্রী বলেন, রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। মিমি চক্রবর্তী যদি খারাপ কিছু করত, সবার আগে শিরোনামে উঠে আসত। আমি জেনে জীবনে কারও কোনো ক্ষতি করিনি। আমি রাজনীতিক নই। কখনো রাজনীতিক হবও না। সবসময় আমি মানুষের জন্য কর্মী হিসাবে কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনো খারাপ কথা বলিনি।

প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে প্রায় একইভাবে রাজনীতি থেকে কিছুটা ‘দূরত্ব বৃদ্ধি’ করেছিলেন তৃণমূলের আরেক তারকা এমপি দেব। তিনিও একের পর এক প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করছিলেন। নিজের লোকসভা এলাকা ঘাটালের তিনটি প্রশাসনিক পদ— ঘাটাল কলেজ, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন দেব। যা দেখে জল্পনা শুরু হয়, দেব হয়তো রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন।

তবে মমতা এবং তার ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মত বদলেছেন দেব। তিনি বলেছেন, আমি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না।

সূত্র: আনন্দবাজার

ওআ/

মিমি চক্রবর্তী

খবরটি শেয়ার করুন