ছবি: সংগৃহীত
দেশের সকল ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (১৯শে মার্চ) খুলনার কয়রায় স্মার্ট পোস্ট সেন্টার কয়রা এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় সরকার স্থানীয় ডাকঘরসমূহ স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরফলে ডাকঘরসমূহ ৩২৫টিরও বেশি ই-গভর্নমেন্ট সেবার পাশাপাশি নিয়মিত ডাকসেবা প্রদান করবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও জনগণ ঐ সব স্মার্ট পোস্ট সার্ভিস পয়েন্ট থেকে ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিষেবা সহ সকল ই-গভর্নমেন্ট সেবা অনায়াসে গ্রহণ করতে পারবেন। যা অর্থনৈতিক অন্তর্ভূক্তির পাশাপাশি দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বপন করা বীজটি চারা গাছে রূপান্তর করেছেন। ২০০৯ সাল থেকে গত সাড়ে ১৫ বছরে তা মহিরূহে রূপ নিয়েছে।
তিরি আরও বলেন, ২০০৮ সালের ১২ই ডিসেম্বর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের ঠিকানা আমরা ২০২১ সালে অতিক্রম করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি স্বপ্নের ঠিকানায় ২০৪১ সালের মধ্যে পৌঁছানোর অভিযাত্রা আমরা শুরু করেছি। স্মার্ট ডাক ব্যবস্থায় দেশের ১০ হাজার পোস্ট অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাবের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: মীমের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের সাইবার টিম কাজ করছে : ডিবি প্রধান
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট (এসএসপি) উদ্যোগ, প্রথাগত ডাক পরিষেবাগুলোর সাথে ডিজিটাল সমাধানগুলোকে একীভূত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পার্সেল ট্র্যাকিং, বিল পেমেন্ট এবং ই-কমার্স সুবিধার মতো সুযোগ-সুবিধার আয়োজন নিয়ে এই সার্ভিস পয়েন্ট বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় অভিগম্যতা ও দক্ষতার বিপ্লব ঘটাবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫টি ডাকঘরকে পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট পোস্ট সেন্টারে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছি। স্মার্ট পোস্ট সেন্টার, কয়রা এই উদ্যোগের প্রথম যাত্রা। আমরা এরই ধারাবাহিকতায় সহসাই আরও ৫০০টি স্মার্ট পোস্ট সেন্টার বাস্তবায়ন করবো।
ইউএনডিপি এর সফররত শুভেচ্ছা দূত, সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া স্মার্ট পোস্ট সেন্টার কয়রার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার এবং এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এসকে/ এএম/
খবরটি শেয়ার করুন