বুধবার, ৩০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি *** এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাত্রদলের *** চা-শ্রমিকদের মজুরি বছরে ৫ শতাংশ হারে বাড়বে *** বয়স ১৬ না হলে ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খোলা নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া *** বলিউড অভিনেতা দীলিপ কুমার ও রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়ি সংস্কার করছে পাকিস্তান *** আগামীকাল খসড়া সনদ রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়ার আশা করছি: আলী রীয়াজ *** নিউইয়র্কে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব অনুষ্ঠিত

ইংল্যান্ডে দরিদ্র এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় ভালো করছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৩০ অপরাহ্ন, ৮ই জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ইংল্যান্ডের কিশোর-কিশোরীরা এ মুহূর্তে ভবিষ্যৎ নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তায় ভুগছে। তারা জিসিএসই পরীক্ষা দিয়েছে, যা বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সে দিয়ে থাকে। আগামী ২১শে আগস্ট ফলাফল তাদের হাতে আসবে। এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তাদের দুশ্চিন্তা স্বাভাবিক। কারণ, ভালো ফলাফল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলে দেয়। খারাপ ফলাফল তা বন্ধ করে দেয়। তবে বড় শহরের শিক্ষার্থীরা কিছুটা নিশ্চিন্তে আছে। তারা দেশের অন্য এলাকার সমবয়সীদের চেয়ে ভালো করছে, এমনকি আগের প্রজন্মের চেয়েও।

২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার শহরের রাষ্ট্রীয় স্কুলগুলোর ২৭ শতাংশ জিসিএসই শিক্ষার্থী ইংরেজি, গণিত ও অন্য তিন বিষয়ে সি গ্রেড বা তার বেশি পেয়েছিল। অথচ সে বছর গোটা ইংল্যান্ডে এ হার ছিল ৪৩ শতাংশ। যেসব শিক্ষার্থী দারিদ্র্যের কারণে বিনামূল্যে খাবার পেত, তাদের অবস্থা ছিল আরও শোচনীয়। দরিদ্র পরিবার থেকে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ম্যানচেস্টারে মাত্র ১৫ শতাংশ ভালো ফল করেছিল, যেখানে সারাদেশে এ হার ছিল ১৮ শতাংশ। খবর দ্য ইকোনমিস্টের।

গত দুই দশকে ইংল্যান্ডে পরীক্ষার গ্রেডিং পদ্ধতি বদলেছে। এখন অক্ষরের বদলে সংখ্যা ব্যবহৃত হয় এবং মূল্যায়নের মানদণ্ড শুধু ইংরেজি ও গণিতের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। তবুও ম্যানচেস্টারে পরিবর্তনটা স্পষ্ট। সেখানে এখন যারা বিনামূল্যে খাবার পায়, তারা ইংল্যান্ডের গড় ফলাফলের চেয়েও ভালো করছে। বার্মিংহাম ও লন্ডনের দরিদ্র শিক্ষার্থীরা তো আরও ভালো করছে। লিডসে ফলাফল ‘ভয়াবহ’ থেকে উঠে এখন গড়ের কাতারে।

লন্ডনের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সাফল্য নতুন কিছু নয়। দুই দশক আগে থেকেই তা নজরে আসতে শুরু করে। শক্তিশালী অর্থনীতি ও শিক্ষা খাতে উন্নয়নের সমন্বয়ে লন্ডন হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসী ও বৈশ্বিক নগরী। এখন ইংল্যান্ডের অন্যান্য বড় শহরও লন্ডনের মতো সাফল্য পাচ্ছে। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ সাইমন বার্গেস ২০১৪ সালে দেখান, লন্ডনের শিক্ষার্থীদের সফলতার মূল কারণ তাদের বড় অংশই সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর।

বার্গেস মনে করেন, জাতিগত পরিচয় নয়, বরং অভিবাসী পরিবারের সন্তান হওয়াই আসল বিষয়। এ শিক্ষার্থীরা বড় হচ্ছে এমন পরিবারে, যেখানে মা-বাবা নিজের জীবনের উন্নতির জন্য দেশ ছেড়েছেন। তাদের এ উচ্চাকাঙ্ক্ষা সন্তানদের পড়াশোনার দিকে ঠেলে দেয়।

জে.এস/

ইংল্যান্ড

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন