বৃহস্পতিবার, ২রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** হোগলাপাতার নান্দনিক সাজে পরিবেশবান্ধব পূজামণ্ডপ, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা *** গ্রেটা থুনবার্গসহ গাজামুখী নৌবহরের বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে ইসরায়েল *** গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন: আবদুল আউয়াল মিন্টু *** ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ কাছাকাছি এলাকায়, গাজামুখী নৌবহরে হস্তক্ষেপের শঙ্কা *** বিমানবন্দরে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি, এম এ মালিককে সতর্ক করল বিএনপি *** অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের চিকিৎসা চলছে লন্ডনে *** ভারতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে অসুর রূপে উপস্থাপন নিন্দনীয় ও অসম্মানজনক: ধর্ম উপদেষ্টা *** স্বস্তি ফিরছে খাগড়াছড়িতে, যান চলাচল শুরু *** পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালানো আসামি অবশেষে... *** ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু

যেখানে ৩০ টাকায় মিলে এক মণ শসা!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১০ পূর্বাহ্ন, ২১শে এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

বাম্পার ফলন হয়েছে তবুও হাসি নেই কৃষকের মুখে। কারণ শসা বিক্রি করতে হচ্ছে পানির দামে। এক মণ শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। ফলে এক মণ শসায় বর্তমান বাজারে মিলছে না এক কেজি চালও। মাথায় হাত উঠেছে দেশের অন্যান্য জেলার মতো পঞ্চগড়ের কৃষকদের।

জেলায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগেও যে শসার দাম ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। এখন সেই শসা বিক্রি করতে হচ্ছে ১ থেকে ২ টাকা কেজিতে। এক মণ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আর বাজারে এই শসাই বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজিতে।

চা শিল্পের পাশাপাশি সবজি আবাদেও অনন্য উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এই অঞ্চলের সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলাতেও সরবরাহ করা হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় পাইকাররা কৃষকের ক্ষেত থেকেই শসা কিনে বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন। কিন্তু এ বছর ন্যায্য দাম না পেয়ে তারা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। 

জেলার সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের চাষি হাতেম আলী দুই বিঘা জমিতে শসা আবাদ করেছেন। আশা করেছিলেন শসা বিক্রি করে লাভবান হবেন। কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না। শসা বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০ টাকা মণে। এতে লাভের জায়গায় উৎপাদন খরচ ওঠানো নিয়ে চিন্তায় কপালে ভাজ পড়েছে তার। হাতেম আলীর মতো তেঁতুলিয়ার শারিয়ালজোতের শসা চাষি আকবর আলীরও। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, পাইকারদের কাছে পানির দরে শসা বিক্রি করে বিপাকে পড়েছি।

চাষিরা জানান, কিছু দিন আগেও পাইকাররা ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে শসা কিনেছেন। এখন তারা সে দামে নিতে চাইছেন না। এখন প্রতি মণ শসা বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে। তারপরেও কেউ নিতে চাচ্ছে না। অনেকে বাকি কিনে পরে টাকা দেয়। এই কারণে অনেকে ক্ষোভে শসা তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন। গাছেই নষ্ট হচ্ছে শসা।

চাষিদের অভিযোগ, শসা ঘিরে তৈরি হয়েছে এক ধরনের পাইকারি সিন্ডিকেট। আমাদের কাছ থেকে কম দামে শসা কিনে বেশি দামে বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভরছেন। আর কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি খুচরা ক্রেতাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন: পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন গণমাধ্যমকে বলেন, এই বছর পঞ্চগড়ে ২১৫ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। আসলে একসঙ্গে বাজারে ওঠায় দাম কমে গেছে। তবে আশা করছি সামনে দাম বাড়বে।

এইচআ/ আই.কে.জে/

দাম শসা বাম্পার ফলন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250