শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেখানে ৩০ টাকায় মিলে এক মণ শসা!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১০ পূর্বাহ্ন, ২১শে এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

বাম্পার ফলন হয়েছে তবুও হাসি নেই কৃষকের মুখে। কারণ শসা বিক্রি করতে হচ্ছে পানির দামে। এক মণ শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। ফলে এক মণ শসায় বর্তমান বাজারে মিলছে না এক কেজি চালও। মাথায় হাত উঠেছে দেশের অন্যান্য জেলার মতো পঞ্চগড়ের কৃষকদের।

জেলায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন আগেও যে শসার দাম ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। এখন সেই শসা বিক্রি করতে হচ্ছে ১ থেকে ২ টাকা কেজিতে। এক মণ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আর বাজারে এই শসাই বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজিতে।

চা শিল্পের পাশাপাশি সবজি আবাদেও অনন্য উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। এই অঞ্চলের সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলাতেও সরবরাহ করা হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় পাইকাররা কৃষকের ক্ষেত থেকেই শসা কিনে বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন। কিন্তু এ বছর ন্যায্য দাম না পেয়ে তারা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। 

জেলার সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের চাষি হাতেম আলী দুই বিঘা জমিতে শসা আবাদ করেছেন। আশা করেছিলেন শসা বিক্রি করে লাভবান হবেন। কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না। শসা বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০ টাকা মণে। এতে লাভের জায়গায় উৎপাদন খরচ ওঠানো নিয়ে চিন্তায় কপালে ভাজ পড়েছে তার। হাতেম আলীর মতো তেঁতুলিয়ার শারিয়ালজোতের শসা চাষি আকবর আলীরও। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, পাইকারদের কাছে পানির দরে শসা বিক্রি করে বিপাকে পড়েছি।

চাষিরা জানান, কিছু দিন আগেও পাইকাররা ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে শসা কিনেছেন। এখন তারা সে দামে নিতে চাইছেন না। এখন প্রতি মণ শসা বিক্রি করতে হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে। তারপরেও কেউ নিতে চাচ্ছে না। অনেকে বাকি কিনে পরে টাকা দেয়। এই কারণে অনেকে ক্ষোভে শসা তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন। গাছেই নষ্ট হচ্ছে শসা।

চাষিদের অভিযোগ, শসা ঘিরে তৈরি হয়েছে এক ধরনের পাইকারি সিন্ডিকেট। আমাদের কাছ থেকে কম দামে শসা কিনে বেশি দামে বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভরছেন। আর কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি খুচরা ক্রেতাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

আরো পড়ুন: পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন গণমাধ্যমকে বলেন, এই বছর পঞ্চগড়ে ২১৫ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। আসলে একসঙ্গে বাজারে ওঠায় দাম কমে গেছে। তবে আশা করছি সামনে দাম বাড়বে।

এইচআ/ আই.কে.জে/

দাম শসা বাম্পার ফলন

খবরটি শেয়ার করুন