শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে আজ *** জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা *** ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তরের মানুষ... *** সব গণমাধ্যমকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** ‘লং মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি দিলেন শিক্ষকরা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুক্রবারই, বাদ পড়লে পরেও স্বাক্ষর করা যাবে: আলী রীয়াজ *** সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা *** সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা *** এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা *** আগামীকাল স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে ‘জাতীয় জুলাই সনদ, ২০২৫’

মাটি খুঁড়তেই মিলল পিতলের কলসিভর্তি প্রাচীন মুদ্রা, এলাকায় চাঞ্চল্য

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১৯ অপরাহ্ন, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৫

#

উদ্ধার হওয়া মুদ্রা। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় মাটি খুঁড়তে গিয়ে পিতলের কলসিভর্তি প্রাচীন মুদ্রা পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (২০শে সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে একটি দোকান মেরামতের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় কলসিটি পাওয়া যায়।

কলসিতে ১ হাজার ৮৭৬টি এক রুপি দামের ভারতীয় প্রাচীন মুদ্রা পাওয়া যায়। যার ওজন ২২ কেজি ৯০০ গ্রাম বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, পুরোনো দোকানঘর সংস্কারের জন্য ওই এলাকার মৃত দীনু মন্ডলের ছেলে শাহিদুল ইসলাম খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খননকাজ চালাচ্ছিলেন। কয়েক ফুট মাটির গর্ত তৈরি হলে কলসিটি বের হয়। বিষয়টিকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য।

পরে খবর পেয়ে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কলসিসহ মুদ্রাগুলো উদ্ধার করে। মুদ্রাগুলোর গায়ে খচিত রয়েছে রাজা-রানির মুকুটসহ নানা প্রতীক। এসব মুদ্রায় আঠারো ও উনিশ শতকের সময়কার বিভিন্ন বছরের সাল উল্লেখ রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সামাদ আলী বলেন, এই এলাকায় অনেক হিন্দু পরিবার বসবাস করত। তৎকালীন হিন্দু পরিবারগুলো দেশভাগের সময় ভারতে চলে যাওয়ার আগে এই সম্পদ নিরাপদ রাখার জন্য হয়তো পুঁতে রেখে গিয়েছিলেন মাটির নিচে, যা আজ এত দিন পরে উদ্ধার হলো। রুপিগুলো সম্ভবত রৌপ্য বা রুপার মুদ্রা।

শাহিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমার বাবা জমিতে মাটি খুঁড়ছিলেন। হঠাৎই পিতলের একটি কলসি পাওয়া যায়। ভেতরে ছিল অসংখ্য পয়সা। আমরা নিজেরাও অবাক হয়ে যাই। হয়তো মাটির নিচে এত দিন আমাদের জন্যই এই সম্পদ লুকিয়ে ছিল। এই মাটি যেন আমাদের পরিবারের জন্য সৌভাগ্য এনে দিল।’

দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, ‘মুদ্রাগুলো বিভিন্ন সময়ের এবং বিভিন্ন মানের বলে মনে হচ্ছে। এগুলো রৌপ্যমুদ্রা কি না, কিংবা কোন কোন ধরনের ধাতু দিয়ে তৈরি, তা নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচাই করব মুদ্রাগুলোর প্রকৃতি, মূল্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব।’

চুয়াডাঙ্গা প্রাচীন মুদ্রা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250