সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অলস প্রতিযোগিতায় জিততে ২২ দিন ধরে শুয়ে আছেন তারা

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০১:২০ অপরাহ্ন, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

অলস ব্যক্তিরা সাধারণত কোনো প্রতিযোগিতায় নামতে চায় না। কিন্তু প্রতিযোগিতাটাই যদি ‘সবচেয়ে অলস’ খোঁজার হয় তাহলে নিতান্ত আলসে মানুষটিও যে চেষ্টা করেন, তা দেখা যাচ্ছে ইউরোপের বলকান অঞ্চলের দেশ মন্টেনিগ্রোতে। কে কতক্ষণ শুয়ে কাটাতে পারে তার লড়াই চলছে। সবচেয়ে বেশিদিন শুয়ে কাটাতে পারা ব্যক্তিই হবেন চ্যাম্পিয়ন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর জন্য থাকছে এক হাজার ইউরো পুরস্কার। অদ্ভুত লাগলেও ‘সেরা কুঁড়ে’ খুঁজে পেতে বিচিত্র এ আয়োজন চলছে দেশটিতে।

মন্টেনিগ্রোর ‘লেজিয়েস্ট সিটিজেন’-এর খেতাব জিততে লড়ছেন সাতজন। এবার অবশ্য আলসেমিতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন প্রতিযোগীরা। টানা ২০ দিন ধরে শুয়ে কাটালেও এখন পর্যন্ত হার মানেননি কোনো প্রতিযোগী।

এখানে অংশ নেওয়া ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বলেন, ২০২১ সালে আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। সত্যি বলতে, এবার আমি বন্ধু ও পরিবারের প্ররোচনায় এতে অংশ নিয়েছি। আমি জানি না, তাদের কেন ধারণা হয়েছে, এ বছর আমি আবারও জিতব। আজ ২০তম দিন। কেউই ভাবেনি প্রতিযোগিতা এতদিন স্থায়ী হবে। প্রথমবার অংশ নেওয়া আরেকজন প্রতিযোগী বলেন, প্রথমবার অংশ নিলাম। নতুন অভিজ্ঞতার জন্য এসেছি। সবসময়ই আমি নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। আমি জয়ের ব্যাপারে খুবই আত্মবিশ্বাসী।

প্রাচীনকাল থেকেই কুঁড়ে হিসেবে বেশ নাম রয়েছে মন্টেনিগ্রোর বাসিন্দাদের। কতটা অলস তারা, সেটা দেখতেই এক যুগ আগে শুধু মজা করার উদ্দেশ্যে প্রচলন এ ব্যঙ্গাত্মক আয়োজনের। প্রতিযোগিতায় নিয়ম কঠিনই বলা চলে। আট ঘণ্টায় মাত্র একবার ১০ মিনিটের জন্য টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বাকি সময় থাকতে হবে শুয়ে। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই চলবে বিছানায়। আয়োজক র‍্যাদোঞ্জা ব্লাগজেভিক বলেন, প্রথমবার মজা করেই এই শুয়ে থাকার প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিলাম আমরা। মন্টেনিগ্রোর মানুষ অলস হিসেবে পরিচিত। তারা কতটা অলস হতে পারে, সেটাই দেখতে চেয়েছিলাম।’

ওআ/

ভিন্ন চোখ প্রতিযোগিতা

খবরটি শেয়ার করুন