ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার প্রধান আতাউল্লাহ’র একান্ত সহকারী ও অর্থ সমন্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার (২ অক্টোবর) ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার নোমান চৌধুরী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু কোনার পাড়ার সাব্বির আহমদের ছেলে।
আজ দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সে অবস্থান করছে। তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। অভিযানের বিষয়ে টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন আরও জানান, ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর সীমান্তবর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তুমব্রু বাজার সংলগ্ন কোনারপাড়া মসজিদের পাশে আরসার সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তখন গোলাগুলিতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদী নিহতের ঘটনা সঙ্গে জড়িত এই নোমান।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরসা প্রধান আতাউল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে। দীর্ঘদিন ধরে আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও সার্বক্ষণিক অস্ত্রধারী বডিগার্ড হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল। এ ছাড়াও হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরসার জন্য আসা অর্থের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে এবং প্রাপ্ত অর্থ আরসার বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের মাঝে পৌঁছে দেয়। সে আরসার জন্য পোশাকের কাপড়, ওষুধ সামগ্রী, ওয়াকিটকি, ল্যান্ড মাইন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনা-কাটা করে বলে জানায়। আতাউল্লাহর নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে বলে সে জানায়।
এর আগেও আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাফেজ নুর মোহাম্মদ, রহিমুল্লাহ প্রকাশ মুছাসহ ৬০ জন জনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
একে/
আরসা গ্রেফতার মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা প্রধান আতাউল্লাহ গ্রেফতার
খবরটি শেয়ার করুন