সোমবার, ২০শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** পাকিস্তান দেখাল কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘ডিল’ করতে হয় *** দেশে লাগাতার অগ্নিকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে সরকারের কোর কমিটি *** নাহিদের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল জামায়াত *** প্রথম আলোর আলোচনায় জুলাই সনদ *** আলোচনা-সমালোচনায় কবি-সাংবাদিক আলতাফ, সহকর্মীরা প্রতিবাদমুখর, সরব নারীনেত্রীরা *** জামায়াত সম্পর্কে কী এনসিপির নতুন উপলব্ধি *** খালেদা জিয়ার সংসদ নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ার বিষয়ে যা জানাল বিএনপি *** একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জরুরি বৈঠক *** জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি *** আন্দোলনের জবাবে ট্রাম্প বললেন, ‘আমি রাজা নই’

চীনের বিরুদ্ধে মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, ২৩শে নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় নিংজিয়া ও গানসু অঞ্চলে শত শত মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। জিনজিয়াংয়ের পর এই চীনা দুই অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি মুসলিম বাস করেন। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) অভিযোগ করেছে, চীনা কর্তৃপক্ষ দেশটিতে থাকা বেশ কয়েকটি মসজিদ বন্ধ এবং তা ভেঙে পুনর্নির্মাণ করছে। যা ইসলামের চর্চা বন্ধে একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টার অংশ।

সংস্থাটির এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। এইচআরডব্লিউর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে ইসলাম ধর্মের অনুসারী প্রায় ২০ মিলিয়ন। তাদের বেশিরভাগই জিনজিয়াং, কিংহাই, গানসু এবং নিংজিয়া এলাকায় বসবাস করেন। প্রতিবেদনটি চীনের উত্তর-পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে কৌশলগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তবে বেইজিং এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চীনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মায়া ওয়াং বলেছেন, ‘চীন সরকারের মসজিদ বন্ধ, ধ্বংস এবং পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম দেশটিতে ইসলামের চর্চা বন্ধ করার একটি কৌশলগত প্রচেষ্টার অংশ।

চীনে দুটি প্রধান মুসলিম জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। একটি হুইসরা তাং রাজবংশের সময় অষ্টম শতাব্দীতে চীনে আসা মুসলমানদের বংশধর। দ্বিতীয়টি হলো, উইঘুর। যাদের বেশিরভাগই জিনজিয়াং-এ বসবাস করেন।

এইচআরডব্লিউ প্রতিবেদনে আরো জানিয়েছে, নিংজিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের লিয়াওকিয়াও গ্রামের ছয়টির মধ্যে তিনটি মসজিদের গম্বুজ ও মিনার খুলে ফেলা হয়েছে। বাকি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। একটি স্যাটেলাইট ফুটেজে লিয়াওকিয়াও গ্রামে মসজিদ পুনর্নির্মাণ করতে দেখা গেছে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের অধীনে কমিউনিস্ট পার্টি রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং চীনা সংস্কৃতির সঙ্গে ধর্মকে সারিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। ২০১৮ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি একটি নথি প্রকাশ করে। যাতে মসজিদগুলোর নিয়ন্ত্রণ এবং একত্রীকরণের কথা উল্লেখ আছে। প্রদেশিক সরকারকে এই জাতীয় কাঠামো (মসজিদ) আরো বেশি করে ভেঙে ফেলা এবং কম নির্মাণের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। নথিতে মসজিদ নির্মাণ, বিন্যাস এবং তহবিল কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা আবশ্যক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

তবে চীনা সরকার দাবি করেছে, মসজিদের একত্রীকরণ প্রায়ই ঘটে। এটা ঘটে যখন গ্রামবাসীরা অন্য স্থানে চলে যায় বা একত্রিত হয়। যা মুসলমানদের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমাতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় আমেরিকা

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার পরিচালক ইলেইন পিয়ারসন বলেছেন, সারা বিশ্বের আরব ও মুসলিম নেতাদের উচিত এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করা।

এসি/ আই. কে. জে/



চীন মসজিদ ভাঙা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250