ফাইল ছবি
ডিম নিয়ে কারসাজির মাধ্যমে বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করে বাড়তি মুনাফা আয় করায় এবার ছয় কোম্পানি ও চার বাণিজ্যিক অ্যাসোসিয়েশনের (সমিতি) বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)।
বিসিসির একটি অনুসন্ধানী দল বাজার থেকে তথ্যসংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে, বেশ কিছু কোম্পানি ও তাদের সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলো এসএমএস-এর মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে বাড়তি মুনাফা করেছে।
সূত্র বলছে, কাজী ফার্মস লিমিটেড, প্যারাগন পোল্ট্রি লিমিটেড, ডায়মন্ড এগ লিমিটেড, পিপলস পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড, নাবা ফার্ম লিমিটেড, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিআইএ), বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ, পোল্ট্রি প্রফেশনালস বাংলাদেশ (পিপিবি) এবং ইউনাইটেড এগ সেল পয়েন্ট- এই দশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিসিসির চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কারসাজিচক্রের দাম বাড়ানোর ঘটনা মাঠপর্যায় থেকে তথ্যসংগ্রহ করে চিহ্নিত করা হয়। বিসিসির অনুসন্ধানী দল বাজার থেকে তথ্যসংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। তদন্তে এসেছে, বেশ কিছু কোম্পানি ও তাদের সংশ্লিষ্ট সমিতি যোগসাজশের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে বাড়তি মুনাফা করেছে। অভিযোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ থাকায় মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ডিমের বাজারে অস্থিরতার কারণে সিপি, প্যারাগন, কাজী, ডায়মন্ড এগ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আমানত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বিসিসি। সেই মামলা এখনো চলমান।
এসকে/