ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির চলমান আন্দোলনে তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে দলটির তিন অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আজ ঢাকায় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করছে। সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি। সমাবেশ ঘিরে মঞ্চ তৈরিসহ এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর ২টার পর তারুণ্যের এ সমাবেশ শুরু হবে। সমাবেশ থেকে এ প্রজন্মের নতুন ভোটার ও তরুণদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে প্রধান বক্তা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও বিশেষ বক্তা ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।
যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে তারুণ্যের এ সমাবেশ সঞ্চালনায় থাকবেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মিল্টন, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
পূর্ব নির্ধারিত এ সমাবেশ সফল করতে শনিবার সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ স্থলে জড়ো হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ ঘিরে আগের দিন শুক্রবার রাত থেকেই সারাদেশ থেকে রাজধানীতে আসা শুরু হয় নেতাকর্মীদের। এরই মধ্যে সমাবেশস্থল থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
বেলা ১১টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সমাবেশস্থলে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে মাইক। ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দীর চারপাশ।
ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে আজকের তারুণ্যের সমাবেশ হবে। বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তরুণ ভোটারদের অংশ নেওয়ার জন্য উজ্জীবিত করতেই রাজধানীসহ দেশের ছয়টি বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
আরো পড়ুন: বিএনপির ‘এক দফা’র লিফলেট বিতরণ, হাসিমুখে নিলেন কৃষিমন্ত্রী
এরমধ্যে গত ১৪ জুন চট্টগ্রাম, ১৯ জুন বগুড়া, ২৪ জুন বরিশাল, ৯ জুলাই সিলেট ও ১৭ জুলাই খুলনায় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ হয়েছে। আজ ২২ জুলাই ঢাকায় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হবে।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকার বাইরের সব কয়টি সমাবেশ অনেকটাই সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সমাবেশে উপস্থিতি ছিল আশাব্যঞ্জক। এবার ঢাকার সমাবেশ সফল করতে নেতাকর্মীরা নিরলস কাজ করছেন।
এম/