রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নাশকতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সরকারের বিবৃতি *** তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকারে ৮০ ভাগ নেটিজেনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া *** ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তপশিল: সিইসি *** ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এনসিপি *** চীন সরকারের ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান, শীর্ষস্থানীয় ৯ জেনারেল বরখাস্ত *** ঢাকামুখী ৮ ফ্লাইট গেল চট্টগ্রাম ও কলকাতায় *** জুলাই সনদে কাল স্বাক্ষর করবে গণফোরাম *** যারা বলেন এবার ‘জামায়াতের শাসন দেখি’, তাদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আনু মুহাম্মদ *** ‘রক্ত দিতে হলে সামনের সারিতে, ক্ষমতার প্রশ্নে খুঁজে পাওয়া যাবে না’ *** ‘দোসর’ বলার জন্য বিএনপির সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে হবে: নাহিদ

নির্বাচনের আগে-পরে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়ে যায়: রানা দাশ গুপ্ত

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:২৭ অপরাহ্ন, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি : সংগৃহীত

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশ গুপ্ত বলেছেন, আমরা মনে করি আগামী নির্বাচনকে ঘিরে আগে বা পরে একটি গভীর সংকটের মুখোমুখি আমাদের হতে হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রবণতা বেড়ে যায়। এ সংকট হতে উত্তোরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে হবে, কীভাবে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট দিতে পারবে বাংলার মানুষ, সেটা তো নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের সংবিধান ও রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসে এদেশের নির্বাচন, রাজনীতি নিয়ে পরাশক্তি এক ধরনের আন্তর্জাতিক রাজনীতি করছে। এতে আমরা উদ্বিগ্ন, আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি ধর্মীয় জাগ্রত সংখ্যালঘু টার্গেট করে সহিংসতা চালায়। দেশে আজ পর্যন্ত কোনো সহিংসতার বিচার হয় নাই। বিচার না হওয়ার কারণে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সংবিধান বলছে, বাংলাদেশের মালিক হচ্ছে এদেশের জনগণ। সংবিধানে মালিকানা এবং ভোট দেয়ার যে অধিকার, সরকার গঠনের যে অধিকার, এ অধিকার বাংলাদেশের জনগণের হাতে থাকবে কিনা এবং থাকছে কিনা?’

আরো পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে আবারো শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হবে’

কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনসহ ৭ দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরও কোনো অগ্রগতি দেখছি না।’

নির্বাচনের আগে দাবিগুলো বাস্তবায়নের জোর দাবিও জানান তিনি।

দীপন কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে উদ্বোধক ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম কুমার চক্রবর্তী ও শ্যামল পালিত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলন শুরুর আগে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এসকে/

নির্বাচন সাধারণ সম্পাদক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250