‘যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের রাজনৈতিক বাস্তবতায় সিদ্ধান্ত নেয়। আর আমাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিই। অগ্রাধিকার যদি মেলে কেবল তখনই সিদ্ধান্ত এক রকম হতে পারে।’ সম্প্রতি ঢাকায় অবস্থিত একটি ইউরোপীয় দেশের রাষ্ট্রদূত নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিকের প্রতিবেদকের নিকট এই মন্তব্য করেছেন। তবে কি বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে? এই প্রশ্নটি অধিকতর তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে (গত ১০ নভেম্বর ২০২৩) যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করার পরিপ্রেক্ষিতে।
অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ ছিল একটি “গৌণ উদ্বেগ”এর বিষয়। কিন্তু সে দেশে ৯/১১-এর বিপর্যয়কর ঘটনার পর, কোনও কোনও গবেষকের মতে, “ধর্মীয় উগ্রবাদের ভয়ের প্রেক্ষাপটে” দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, মার্কিন কৌশলগত গণনায় বিবেচনাযোগ্য হয়ে উঠেছে। এছাড়া, সম্প্রতি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা, ভারত মহাসাগর অঞ্চল এবং বঙ্গোপসাগরের গুরুত্বে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রেই চীনের ব্যাপক অংশগ্রহণ, ভারতের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সম্পর্ক এবং জটিল রোহিঙ্গা সংকট এমন এক বাস্তবতার জন্ম দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র আর বাংলাদেশের গুরুত্বকে উপেক্ষা করতে পারছে না।
তবে এসব কিছুর মধ্যে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের আত্মত্যাগ ও এর আদর্শ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের উদাসীনতা(!), ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হানির বিষয়টি স্বীকার না করা এবং ‘জামায়াত কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার ইতিহাস’ বিবেচনায় না নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাওয়ার ব্যাপারটি অপমানজনক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য! জামায়াত এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই সখ্যতা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার তৎপরতায় জামায়াতকে উৎসাহিত করেছে!
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জামায়াত ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষণার পরেও বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের জামায়াত প্রীতির বিষয়টি “ধ্রুপদী বাস্তববাদী তত্ত্ব বা ক্লাসিক্যাল রিয়ালিজম থিওরি”র দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। ধ্রুপদী বাস্তববাদী তত্ত্ব অনুসারে ‘মানুষ স্বভাবতই স্বার্থপর এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি হচ্ছে সেই ত্রুটিপূর্ণ মানব প্রকৃতি থেকে উৎপন্ন ক্ষমতার জন্য একটা নিরন্তর সংগ্রাম।’ এই তত্ত্বের চেতনা অনুসারে সন্ত্রাসবাদ ও de-escalation এ সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শাসনে সমন্বিত পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির পছন্দগুলি গঠনের জন্য মূল পদ্ধতিগত চাপ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়াতের ব্যাপারে বাংলাদেশের স্পর্শকাতরতার যথার্থতা মিডল ইস্ট ফোরামের (এমইএফ) ওয়াশিংটন প্রজেক্টের পরিচালক ক্লিফোর্ড স্মিথ এর এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে তিনি বলছেন, “আমার ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের অনেকেই ইসলামের নামে কট্টর পন্থা বা কট্টর পন্থায় বিশ্বাসীদের সম্পর্কে জানে না। তবে হ্যাঁ, তারা আল-কায়েদা, লস্কর-ই-তৈয়বা ইত্যাদি সম্পর্কে জানে। কিন্তু আরো অনেক গোষ্ঠী আছে, যারা নীতি ও আদর্শিকভাবে কট্টরপন্থী চিন্তা-ভাবনা লালন করে, কিন্তু নিজেদের উদার বলে দাবি ও প্রচার করে, তাদের ব্যাপারে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের বোঝার ঘাটতি আছে।”
তিনি বলেন, “পাকিস্তানের হিজবুল মুজাহিদীন জামায়াতে ইসলামীর শাখা। বাংলাদেশের জঙ্গি ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ আছে বলে আমাদের তথ্য বলছে।” তার মতে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বোঝাপড়ার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জামায়াত প্রীতির অবস্থা থেকে দৃশ্যত: ভিন্ন অবস্থান ইউরোপীয় ইউনিয়নের। ২০২৩ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গৃহীত প্রস্তাবে “জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সুস্পষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানানো” হয়েছিল। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সতর্কতা সত্ত্বেও বর্তমানে নির্বাচন বিরোধী তৎপরতায় বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সখ্যতা স্পষ্ট।
বিএনপির বিভিন্ন দায়িত্বশীল নেতা যারা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ করছিলেন, তারা বলছেন যে এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত পশ্চিমা দেশগুলো বিএনপির সঙ্গে আর কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করছে না। তারা বিএনপিকে আন্দোলন বন্ধ এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিএনপি তাতে কর্ণপাত না করে জামায়াতের সঙ্গে যৌথভাবে নির্বাচন প্রতিহত করার তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত কয়েকমাস ধরে অতি আগ্রহ দেখিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর ২০২৩ সালে প্রায় ১৫ বার মার্কিন প্রতিনিধিরা সফর করেছেন বাংলাদেশে। নির্বাচন সামনে রেখে পুরনো ভিসানীতি নতুন করে ঘোষণা করেছে দেশটি। তফসিল ঘোষণার আগে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিকে এশিয়া সাব-কন্টিনেন্টে প্রভাবশালী ডোনাল্ড লু’র চিঠিও ছিল আরেক কূটনীতি। আর ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বরাবরই বক্তব্য দিয়ে আসছেন নির্বাচন নিয়ে।
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো সুপারিশ করে নাই। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের কাজ করবে বলে ইইউ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেছিলেন ইইউর হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফসিল ঘোষণার কয়েক দিন আগে ১০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে দিল্লিতে ২+২ সংলাপের বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বাংলাদেশের নির্বাচন এবং রাজনীতি নিয়ে নয়াদিল্লির বক্তব্যের জবাবে ওয়াশিংটন কী বলেছিল তার কিছুটা আভাস মিলছে যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স’ এর রিপোর্টে। ১৭ নভেম্বর ২০২৩ “আউটকামস অব দ্যা নভেম্বর ইউএস-ইন্ডিয়া ২+২ ডায়লগ” শিরোনামের ওই রিপোর্টে। জানা যাচ্ছে, ডায়লগে বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়। বৈঠকে আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা হয়। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ভারতও জানিয়েছে, তারা প্রগতির বাংলাদেশ চায়।
সংলাপ-পরবর্তী বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল যে বাংলাদেশে নির্বাচন "অবাধ ও উন্মুক্ত এবং... সহিংসতামুক্ত হওয়া উচিত।" আর কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা। তিনি বলেন, বৈঠকের বর্ধিত আলোচনায় আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যু দক্ষিণ এশিয়া এবং অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। তৃতীয় কোনো দেশের বিষয়ে ভারত কখনোই মাথা ঘামায় না। আমি মনে করি, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমন হবে, নির্বাচন কেমন হবে, তা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণই তা ঠিক করবেন। তারাই তাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারতের বক্তব্য কূটনৈতিক ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রগতিশীল পরিস্থিতি বজায় রাখতে মার্কিনীদের নির্বাচনে মাথা না ঘামানোর বার্তা স্পষ্ট হয়েছে। ভারত বলেছে যে; বাংলাদেশে যে নির্বাচন হবে সেখানে কেউ কথা বলুক আমরা (ভারত) তা চাই না, এই বার্তাটাই তারা দিয়েছে। বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে এই কথাটাই ভারত বোঝাতে চেয়েছে যে, আপনারাও (যুক্তরাষ্ট্র) নাক গলাতে আসবেন না।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকায় পশ্চিমা এক কূটনীতিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় তাঁর দেশ। তবে নির্বাচন সে রকম না হলে তারাও যুক্তরাষ্ট্রের পথেই হাঁটবে কিনা–সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের রাজনৈতিক বাস্তবতায় সিদ্ধান্ত নেয়। আর আমাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিই। অগ্রাধিকার যদি মেলে কেবল তখনই সিদ্ধান্ত এক রকম হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতার মিল থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা কেবল আহ্বান জানাতে পারি, এর বেশি নয়।’
ইইউ-এর অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার উপর জোর দেওয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের জটিল ওয়েবকে প্রকাশ করে যা বাংলাদেশের প্রতি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। ইইউ বাজারে শ্রম অধিকার সমস্যা সমাধানে ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছে।
অপর দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিটি দেশে কাজের অবস্থার উন্নতি করতে কাজ করবে। এটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র নীতি নিশ্চিত করার অন্যতম চাবিকাঠি। শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা শুধু অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। আমরা আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চিত করতে চাই। অতএব, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম চাবিকাঠি।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালি, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড ও জাপানের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, কৌশলগত লক্ষ্য ও অগ্রাধিকার রয়েছে। তাই বাংলাদেশে নির্বাচন ও শ্রম অধিকার ইস্যুতে তাদের পাশে পাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। যদিও বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই রয়েছে। এই অবস্থায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
“নির্বাচনমুখী” মূল রাজনৈতিক প্রবণতার সামনে “নির্বাচন বিরোধী” শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের মদত পাওয়া সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে খ্রিস্টিয় নতুন বর্ষ ২০২৪ এর ৭ জানুয়ারি অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
*প্রফেসর ড.অরুণ কুমার গোস্বামী, পরিচালক, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, ঢাকা। সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, সাবেক চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
খবরটি শেয়ার করুন