শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপপুরে ব্যয় করা ১৩ বিলিয়ন ডলার জলে গেলো: আবদুল মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:২৫ অপরাহ্ন, ৫ই অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি জানি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পেছনে ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। কিন্তু দুঃখের এবং যথেষ্ট যুক্তি দিয়ে বলছি, এই ১৩ বিলিয়ন ডলার জলে গেলো।’

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিএনপির মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘পরিবেশ ও মানব বিপর্যয়ের আশঙ্কা উপেক্ষা করে দুর্নীতিগ্রস্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ একটি রাষ্ট্রীয় অপরিণামদর্শিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আজ আমরা যদি কেবল অর্থবিত্ত সম্পদের পেছনে ছুটি, দেশের দরিদ্র মানুষের যে কোয়ালিটি অব লাইফ, তাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা– এগুলো ভুলে যাই। এগুলো ভুলে গেলে কিন্তু আমরা আমাদের মরার অথরিটি হারিয়ে ফেলবো। যেটা আজকের সরকার হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এই দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকার আর কোনও নৈতিক অধিকার নেই। তারা একে একে ভুল করে যাচ্ছে। তাদের সর্বশেষ ভুল হলো, এই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট। আমি বিনীতভাবে এ সরকারকে অনুরোধ করবো– এই আগুন নিয়ে খেলার পথ থেকে আপনারা সরে আসুন।’

তিনি বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে খরচ হওয়া ১৩ বিলিয়ন ডলার যদি জলে নাও যায়, এর ফলশ্রুতিতে যে ক্ষতি হবে, বাংলাদেশে যে পরিবেশগত বিপর্যয় হতে পারে তার মূল্যমান ১৩০ বিলিয়ন ডলার হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের দূরদর্শী হতে হবে। আমাদের আজকের জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তির যে বোঝাপড়া, আমাদের যে উপলব্ধি, আজকের যে গবেষণা তার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ষাট বছর আগের সেই পরিস্থিতি নিয়ে আজ সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশ ভুল করবে। আজ রাষ্ট্রের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি তাকে বলবো, চরম অপরিণামদর্শী।’

তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে নিউক্লিয়ার পাওয়ার হবে– এর সবচেয়ে বড় প্রবক্তা হওয়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু আমি আজ কেন এর বিরোধীতা করে কথা বলছি ? কারণ পরমাণুর যে প্রতিক্রিয়া হয় তার ফলশ্রুতিতে দেশের কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। এই বিশ্বের পরিবেশগত ভারসাম্যও ধ্বংস করে দিতে পারে। সে জ্ঞান কিন্তু ৫০-৬০ বছর আগে মানুষের ছিল না। আজ সেই জ্ঞান হয়েছে বলেই আমি একজন পরমাণু বিজ্ঞানী হয়েও শক্ত ভাষায় বলছি এই ভয়ংকর, পরিবেশ ধ্বংসকারী পথ থেকে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে বাঁচাতে হলে আমাদের এই প্রকল্প থেকে সরে আসতে হবে।’

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য শাম্মী আক্তারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও ছিলেন– সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. লুতফর রহমান, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।

একে/

সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ড. আব্দুল মঈন খান

খবরটি শেয়ার করুন