প্রতীকী ছবি
স্ত্রী সারাদিন শুয়ে বসে কাটালে আপনার উপর বাড়তে থাকবে চাপ। তাই সময় থাকতে থাকতে স্ত্রীর এমন অলস মনোভাব এই ৫ কৌশলে দূর করে দিন।
সংসারে থাকতে গেলে কিছু না কিছু কাজ তো করতেই হবে। নইলে আপনার সংসারের কাজ তো অন্য কেউ এসে করে দিয়ে যাবেন না! আর এই বিষয়টা নারী-পুরুষ সকলকেই মাথায় ঢুকিয়ে নিতে হবে। তাহলেই নির্বিঘ্নে সংসার করা সম্ভবপর হবে।
প্রসঙ্গত বলে রাখা দরকার, এখনও আমাদের দেশের বেশিরভাগ পরিবারের কর্তৃত্ব থাকে মহিলাদের হাতেই। তারাই সংসারের জুতো-সেলাই থেকে চণ্ডিপাঠ- সবটা করে থাকেন। তবে কিছু কিছু আধুনিক মহিলা আবার প্রচণ্ড অলস স্বভাবের হন। তাই তারা ঘরের কোনও কাজই করতে চান না। বরং সারাদিন কেবল শুয়ে বসে সময় কাটান। আর এটাই পারিবারিক অশান্তি ডেকে আনে।
তাই আপনার স্ত্রীও যদি এমন অলস জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে আজ থেকেই সাবধান হোন। সেক্ষেত্রে এই কয়েকটি সহজ কৌশলেই তার মনোভাবে বদল আনুন। আশা করছি এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
১. বুঝিয়ে গুছিয়ে কথা বলুন
স্ত্রীর এমনতর শুয়ে বসে থাকার অভ্যাস যে সকলের চোখে দৃষ্টিকটূ হয়ে উঠছে তা তাকে সবার প্রথমে বুঝিয়ে বলুন। তাকে শান্ত মাথায় বোঝাতে হবে যে ঘরের কাজ করাটা একটা বেসিক স্কিল। এই কাজটা সকলেরই করা উচিত। আশা করছি, এই বিষয়টুকু বুঝিয়ে উঠতে পারলেই তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারবেন। এমনকি এরপর থেকে নিজের কাজটা অন্তত নিজে করতে পারেন। তাই সবার প্রথমে এই টেকনিক ব্যবহার করুন।
২. নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে
এতদিন ধরে বাড়ির সমস্ত কাজ একা হাতে সামলাতে সামলাতে আপনি তার আশকারা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই আজ থেকেই বাড়ির সব কাজ একাহাতে সামলানোর অভ্যাসটা ত্যাগ করুন। বরং আপনার নিজের কাজটুকু সেরে তার কাজটা ফেলে রাখুন। এর মাধ্যমেই তার কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে যাবে। এরপর তিনি নিজের ভুল বুঝে নিয়ে ঘরের কাজে এগিয়ে আসলেও আসতে পারেন।
৩. স্ত্রীর বাবা-মাকে বোঝাতে বলুন
এই বিষয়ে স্ত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তাদেরকে আপনার মানসিক অবস্থার কথা বুঝিয়ে বলুন। তারা অভিজ্ঞ মানুষ। তারা নিশ্চয়ই আপনার সমস্যার বিষয়টা অনুধাবন করে ফেলবেন। তারপর ওনারাই মেয়েকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলবেন। আশা করছি, নিজের অভিভাবকের কথা শুনে স্ত্রী নিজের ভুলটা ধরে ফেলতে দেরি করবেন না। তারপর তিনি আলসেমির রাস্তা ছেড়ে আপনার সঙ্গে সংসারের কাজে হাত লাগাবেন। আর এটাই আপনার জয়।
৪. অর্ডার দেবেন না
আজকালকার মহিলারা অত্যন্ত স্বাধীনচেতা। তাই তারা আপনার নির্দেশকে হেলায় উড়িয়ে দিতেও পারেন।এমনকি আপনার এহেন ব্যবহার সম্পর্ককে খাদের কিনারায় এনেও দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন। এই কারণে সম্পর্কের উপর ভেসে উঠতে পারে ডিভোর্সের ভ্রুকুটি। তাই স্ত্রীকে কাজের অর্ডার দেওয়ার অভ্যাসটা এবার ছাড়ুন তো মশাই। বরং তাকে আপনার মনের কথা বুঝিয়ে বলুন। এতেই খেলা ঘুরলেও ঘুরতে পারে।
৫. সহজ কাজ করতে বলুন
প্রথমেই স্ত্রীর উপর একগাদা কাজের বোঝা চাপিয়ে দিলে তিনি কোনও কাজই করবেন না। তাই সবার প্রথমে তাকে ছোট ছোট কাজ দিন। যেমন খাবারের বাসন ধুতে বলুন বা নিজের জাম-কাপড় কাচতে বলুন। এভাবেই তাকে ঘরের ছোট ছোট কাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন।
আশা করছি, এতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে। পরবর্তী সময়ে তিনি আলসেমি কাটিয়ে ঘরের সব কাজই করবেন। আর আপনার সব দুশ্চিন্তাও কেটে যাবে।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন