সোমবার, ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনে সিইসির আশ্বাস *** তিন দলের তিন মত, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট করতে অনড় সরকার *** চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন এনসিপির নেতারা *** মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিকে ধারণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ *** কেউ যদি নির্বাচনের বিকল্প নিয়ে ভাবে, সেটা হবে জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক: প্রধান উপদেষ্টা *** জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে আলোচনা হয়নি: বিএনপি *** ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ *** ট্রাম্পের শুল্কের যে প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ১৫ হাজার গার্মেন্টসে *** বিস্ফোরণ-গুলি-ড্রোনের শব্দকে শ্রুতিমধুর সংগীতে রূপান্তর করছেন গাজার শিল্পী *** অশান্ত বিশ্বে সি–মোদির বন্ধুত্বের বার্তা

স্বপ্নের ঠিকানায় নিতে দেশবিরোধী রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, ১৩ই আগস্ট ২০২৩

#

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হিসেবে আজকের অগ্রগতি অব্যাহত রেখে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় যদি বাংলাদেশকে পৌঁছাতে হয় তাহলে দেশবিরোধী ও ঘৃণার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত '১৫ আগস্ট উপলক্ষে আলোচনা: বঙ্গবন্ধু ও আগামীর বাংলাদেশ' শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, "দেশটাই যারা চায়নি, এই জামায়াতে ইসলামী যারা এই দেশের পতাকার বিরুদ্ধে চারতারার পতাকার পক্ষে যারা যুদ্ধ করেছিলো পাকিস্তানিদের দোসর হয়ে, তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, তাদেরকে আঁচলের তলায় ছায়া দিয়ে, তাদেরকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করা যদি বন্ধ না হয় দেশকে আমরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারবো না।"

হাছান বলেন, "এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছে। মুক্তিযুদ্ধের গঠিত সরকারের অধিনেই সেক্টর কমান্ডাররা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, বেতন পেতেন। জিয়াউর রহমানও ৪শ’ টাকা বেতন নিতেন।"  

ঐতিহাসিক সত্যটা হচ্ছে এই যে, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলো এবং তার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণটা পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে ছিলো, ঘটনাপ্রবাহ তাই প্রমাণ করে।'

সম্প্রচারমন্ত্রী আরো বলেন, "১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের সবচেয়ে বড় বেনিফিসিয়ারি হচ্ছে জিয়া ও তার পরিবার। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত তার প্রমাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর খন্দকার মোশতাক তার আস্থাভাজন বলেই জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিলেন।"  

ইতিহাসের সত্যগুলো তুলে ধরতে গেলে কিছু কথা বলতে হয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, "সমস্ত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মানুষ বিএনপিতে যোগদান করেছিলো। বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডকে উপহাস করার উদ্দেশ্যে ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করতেন। এবং  মির্জা ফখরুল সাহেবের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার বাবাও একজন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মানুষ ছিলেন, স্বাধীনতার পর কিছু দিন আত্মগোপনে ছিলেন।" 

জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সাবেক মন্ত্রী এ. বি তাজুল ইসলাম এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল জলিল ভুঁইয়া, আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।

এসকে/ 

তথ্যমন্ত্রী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন