বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৬৫ বছর পর খুঁজে পাওয়া গেলো হারানো মানিব্যাগ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:১৫ অপরাহ্ন, ২রা জানুয়ারী ২০২৪

#

১৯৫৯ মডেলের একটি শেভ্রোলেট গাড়ি জেতার জন্য কেনা লটারির টিকিট, পুরনো আমলের ক্রেডিট কার্ড, সাদা-কালো পারিবারিক ছবিসহ মানিব্যাগটি লুকিয়ে রাখা ছিল আটলান্টার প্লাজা থিয়েটার হলের একটি বাথরুমের দেয়ালের পেছনে।

সম্প্রতি সিনেমা হল সংস্কার করার সময় মানিব্যাগটি খুঁজে পাওয়া যায়।  

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতবেদনে বলা হয়, প্রায় ৬৫ বছর পর সংস্কারের সময় বাথরুমের একটি ভাঙা দেয়ালের পেছনে নির্মাণশ্রমিকেরা লুকানো একটি জায়গার সন্ধান পান। সেখানে ধুলোর মধ্যে বেশ পুরনো মানিব্যাগের খোঁজ মেলে। প্লাজা থিয়েটারের মালিক ক্রিস এসকোবার সিদ্ধান্ত নেন, যেভাবে হোক মানিব্যাগটি যাদের প্রাপ্য তাদের ফিরিয়ে দেবেন।

এসকোবার সিএনএনকে বলেন, ‘বুঝতে পারি এটি এমন একটি পরিবার থেকে নিখোঁজ হয়েছে, যারা এই এলাকায় ৬৫ বছর ধরে বাস করছে। যদি তাঁদের খুঁজে পাই, কী অকল্পনীয় বিষয় হবে মনে হচ্ছিল।’

প্লাজা থিয়েটার আটলান্টার সবচেয়ে পুরোনো সিনেমা হল। একই সঙ্গে এটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যময় একটি জায়গা। অনেক পুরোনো জিনিসপত্রের সন্ধান মেলে এখানে। তবে অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে খোঁজ পাওয়া যায়নি এমন একটি মানিব্যাগ পাওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে একেবারে আলাদা।

হল মালিক এসকোবার জানান, মানিব্যাগটি ইতিহাসে ঠাসা যেন। ফলে মালিকের পরিবারকে খুঁজে পাওয়ার জন্য ভালো সূত্র ছিল। এর ভেতরে থাকা লাইসেন্স দেখে বোঝা যায়, এটি ফ্লয় কালব্রেথ নামের এক নারীর। তবে সমস্যা হলো ওই সময় নারীদের বড় একটি অংশ স্বামীদের নাম ব্যবহার করতেন। মানিব্যাগের মালিককে খুঁজে বের করার জন্য এসকোবার তাঁর স্ত্রী নিকোলের সহায়তা নিলেন। নিকোলে ওই নারীর স্বামী রয় কালব্রেথের মৃত্যুর পর পত্রিকায় যে শোক সংবাদ ছাপা হয়, তা খুঁজে পান। সেই সূত্র থেকে নানা তথ্য জোগাড় করে ফ্লয় কালব্রেথের মেয়ে থিয়া চেম্বারলিনের খোঁজ পান। 

ফ্লয় কালব্রেথ অবশ্য ২০০৫ সালে মারা গেছেন। মেয়ে চেম্বারলিন বলছিলেন, তাঁর মা বিখ্যাত অভিনেত্রী মির্না লয়ের মতো সুন্দরী এবং অভিনেত্রী জুন ক্লিভারের মতো ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি জানান, ফ্লয় কালব্রেথ সামাজিক বিভিন্ন কাজেও সম্পৃক্ত ছিলেন। সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্তদের সাহায্য করার মতো দাতব্য কাজেও অবদান রেখেছিলেন।

মানিব্যাগে পারিবারিক ছবি, র‍্যফেল ড্র’র টিকিট, কয়েকটি বিমা কার্ড এবং চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্টের কাগজ ছিল। বর্তমানে ৭১ বছর বয়স চেম্বারলিনের। মা যখন মানিব্যাগটি হারান তখন চেম্বারলিনের বয়স ছিল মাত্র ছয়। মানিব্যাগের ভেতরে পাওয়া বিভিন্ন অনুষঙ্গ নিঃসন্দেহে তাঁর মায়ের ছিল বলে জানান তিনি। 

কালব্রেথ পরিবার গত নভেম্বরে মানিব্যাগটি সংগ্রহ ও ফিরে পাওয়া উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছিল। সেখানে ফ্লয় ও রয় কালব্রেথের ছেলেমেয়ে ও নাতি-পুতিরা ছিল আয়োজনে। 

ওআ/

মানিব্যাগ

খবরটি শেয়ার করুন