অবশেষে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আমদানিকৃত ডিম দ্রুত দেশে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূলত নিত্যপণ্যের দাম কমাতে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উচ্চমূল্যের কারণে সাধারণ ভোক্তাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ডিম। এ অবস্থায় আমদানির অনুমতি পাওয়া বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান চলতি সপ্তাহে আমদানিকৃত ডিম দেশে নিয়ে আসার কথা জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আশা করা হচ্ছে, আমদানির ডিম বাজারে এলে দাম কমে আসবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, হঠাৎ করে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বাজারে এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে। তবে পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর আমদানিকৃত ডিম আগামী সোমবার কিংবা মঙ্গলবারের মধ্যে দেশে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজারে আমদানিকৃত ডিম ও পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে এসব পণ্যের দাম কমে আসবে।
এদিকে, বাজারে প্রতি হালি সাধারণ ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ৫৫ টাকা। আর আমদানিকারকরা প্রতি হালি ডিম ৪৪ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
আমদানি করা ডিম অনেকটা সুলভ মূল্যে বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে অন্তত তিনটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের হরিয়ানা রাজ্য থেকে ডিম নিয়ে আসতে পারবে বলে তারা আশা করছেন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলে বাজারে তা কার্যকর হয়নি। দাম কমাতে এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক মাসে ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় তিন দফায় ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
ওআ/