ছবি: সংগৃহীত
রেডিও কিংবা টেলিভিশনের বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত হতে খুব কম মহিলাকেই দেখা যায়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বেশিরভাগ মহিলাই এ কাজকে তাদের জন্য নিরাপদ বলে মনে করেন না।
তবে বিগত কয়েক বছরে, বিশেষ করে ২০১৯ সালের পর, জম্মু ও কাশ্মিরের বেশ কয়েকজন মহিলা আনন্দের সাথেই সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। দক্ষতার সাথে তারা এ বিভাগে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। জম্মুতে সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত বেশ কয়েকজন মহিলাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন অনুরাধা ভাসিন, সরোজ রাজদান, বেনু যোশী এবং সুস্মিতা সেন।
এছাড়াও তরুণ সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন পল্লবী সারিন, প্রজ্ঞা সগোত্র, ফটোসাংবাদিক শিল্পা ঠাকুর, রশ্মি শর্মা এবং কোমল সিং মিনহাস।
এদের মধ্যে কোমল সিং মিনহাস জম্মু ও কাশ্মিরের বাসিন্দা। তিনি প্রথম মহিলা সাংবাদিক হিসেবে "ইনভ্যালুয়েবল অফ ইন্ডিয়া বা ভারতের অমূল্য ব্যক্তিত্ব" পুরস্কারে সম্মানিত হন। নয়াদিল্লির ড. আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার জনপথে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
গর্ভাবস্থাতেও নিজের সাংবাদিকতার কাজ অব্যাহত রাখা এবং সুধরা, সঞ্জাওয়ান, পুঞ্চ এবং রাজৌরিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনগুলোকে সুন্দরভাবে প্রদর্শনের জন্য নিউজ ১৮ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন জম্মু ব্যুরো চিফ, কোমল সিং মিনহাসকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আরো পড়ুন: বিক্ষোভের নামে ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ডেনমার্ক
নিজেদের লক্ষ্য পূরণে যারা দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন তাদের সম্মানিত করাটাই এ পুরস্কারের লক্ষ্য। সমাজ, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, বিজ্ঞান, ব্যবসা এবং এর বাইরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তি ও সংস্থাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বিশিষ্ট সমাজকর্মী ডা. বিজয় কুমার শাহ, ভ্যাকসিনের জনক ডা. টিএস রাও, দূরদর্শনের মহাপরিচালক, ড. এস এম খান, কার্গিল যোদ্ধা রশিদ জাফর কোরেশি, হরিয়ানার এমপি সুনিতা দুজ্ঞাল, বিশিষ্ট পণ্ডিত চন্দ্রকলা পাড়িয়াসহ অনেককেই এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/