সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলে আসন সংকট নিরসনে তিনশত ছাত্রীকে অন্য হলে স্থানান্তরের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন হলটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৩ আগস্ট) স্মারকলিপি দানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে তারা এ সব দাবি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন।
দাবির সপক্ষে তারা ১০৫ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া দাবি আদায়ে আগামী সোমবার দুপুর একটায় তারা ভিসি চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, মৈত্রী হল ছোট হলেও প্রতিবছর অধিক ছাত্রী এখানে অ্যালোটমেন্ট দেওয়া হয়। ফলে ছাত্রীদের অন্যান্য হলে ছয়মাসের মধ্যে বৈধ আসন পেলেও মৈত্রী হলে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীরা চতুর্থ বর্ষে উঠেও এখনও আসন পাচ্ছে না। এর পাশাপাশি ২০২০-২১, ২১-২২, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সবার আসন অনিশ্চিত অবস্থায় আছে।
তার আরও তুলে ধরেন, হলের মূল ভবনে পাঁচটি অতিথি কক্ষে চাপাচাপি করে ১০০ শিক্ষার্থী বার্ষিক চার হাজার টাকা প্রদান করে অবস্থান করেন। অথচ তাদের জন্য তিনটি ওয়াশরুম রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত সিকদার মনোয়ারা ভবনের তিনতলার ১৫ টি অতিথি কক্ষ যেখানে বর্তমানে ১১০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছে এবং তাদের জন্য ২টি ওয়াশরুম আছে। দোতলায় ২৪ শিক্ষার্থীর জন্য একটি ওয়াশরুম রয়েছে। এতে তারা বর্ণনাতীত কষ্টে আছেন।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তর করা, হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থী অ্যালোট দেওয়া, মূলভবনের প্রতি রুমে ছয় শিক্ষার্থীর বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, "আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে হল ভিজিট করে এসেছি। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আগামী বছর থেকে হলে আসন কমিয়ে দিতে হবে। আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে যা কিছু করা যায়, তা করব। আমি ইতোমধ্যে প্রধান প্রকৌশলীকে বলে দিয়েছি।"
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন নুসরাত জাহান, নুসরাত ইমরোজ, হাপছা ইসলাম দিপা, রিয়ামনি আক্তার, রাফিরা রেহনুমা, রওনক জাহান, নিশিতা জামান নিহা
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন