ছবি-সংগৃহীত
টালিপাড়ায় আপাতত চর্চার বিষয় ‘পরমপিয়া’র বিয়ে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেক বেশী চর্চা চলছে । কেউ কেউ আবার পুরনো বন্ধু অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তীকে পরমব্রতর বিয়ে করা নিয়েও কিছু কম হাসহাসি করছেন না, ট্রোলিং চলছেই। কিছুও মিমও ঘোরাফেরা করছে। তবে এসবের মাঝেই ফেসবুকে এ কী লিখলেন শ্রীলেখা!
পরমব্রত-পিয়ার বিয়ের ঠিক একদিন পর ২৮শে নভেম্বর, মঙ্গলবার শ্রীলেখা মিত্র কারো নাম না করে লেখেন, ‘যে যার নিজের বর, বউকে সামলে রাখুন’ অন্যের বউ, এক্স বউ কী করছে তাতে আমার আপনার কী যায় আসে? কেউ সেরা নৈতিক অভিভাবক তকমায় ভূষিত করবে না, বিশ্বাস করুন।’
শ্রীলেখা আরও লেখেন, sarcasm (ব্যঙ্গ) আমার দ্বিতীয় ভাষা, এবং এটা একটা শিল্প, যা থেকে আপনি বঞ্চিত হতে পারেন।
শ্রীলেখা মিত্রের এই পোস্টের নিচে বহু কমেন্ট উঠে এসেছে। অনেকেই নাম না করে অবশ্য শ্রীলেখার সমর্থনে সুর মিলিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘সত্যি timeline এ চোখ রাখা যাচ্ছে না।
সবার কৌতুহল এত বেশি মাত্রায় যে তা সময়ে সময়ে এমন দৃষ্টিকটু হয়ে পরে, সে ধারণা জ্ঞান মানুষের বোধহয় লুপ্ত হয়েছে সম্পুর্ণ।’ কারোর মন্তব্য, ‘এখানে বিলেতে বাঙালিদের মধ্যেও দেখলাম মিম শেয়ার,হাসি ঠাট্টা। আলাদা করে বললাম কারণ এরা নিজেদের খুব সাংস্কৃতিক রুচিসম্পন্ন ভাবে।’ কেউ মজা করে লিখেছেন, ‘এ আমাদের পরম প্রাপ্তি’।
যদিও শ্রীলেখা কারোর নাম নিয়ে, বা কী প্রসঙ্গে তিনি এমনটা লিখেছেন, তা স্পষ্ট করে কিছু লেখেননি। তবে তাঁর লেখার উদ্দেশ্য কী, এবং কেন? তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি নেটপাড়ার। তবে তাঁর লেখায় বেশ স্পষ্ট, তিনি পরমব্রত-পিয়ার বিয়ে নিয়ে লোকের অহেতুক সমালোচনা, কৌতুহলকে মোটেও সমর্থন করছেন না।
আরো পড়ুন: এবার বলিউড সিনেমায় হিরো আলম
প্রসঙ্গত, সোমবার, পরমব্রত-পিয়ার বিয়ে নিয়ে ট্রোলারদের কড়া জবাব দিয়েছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। রুদ্রনীলের কথায়, ‘এটা একান্ত ব্যক্তিগতভাবে দুটো মানুষের ইচ্ছা। সেক্ষেত্রে পরম এবং পিয়ার প্রচুর অনুরাগী রয়েছেন। যাঁরা ট্রোল করছেন, তাঁদের মধ্যে পরম বা পিয়ার হতে পারতাম প্রেমিক বা প্রেমিকা, হতে পারতাম স্বামী বা স্ত্রী এমন লোকজনও থাকতে পারেন। তাঁদের হয়ত সেকারণেই কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া সুস্থ মস্তিষ্কের কোনও মানুষেরই এটা নিয়ে কিছু বালার থাকে না, শুধু আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা দেওয়া ছাড়া। যেখানে দুজন একটা সম্মানজনক সম্পর্কে আবদ্ধ হতে চলেছেন। এটা তাঁদের একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’
এসি/ আই. কে. জে/