সোমবার, ১৭ই জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাই-বোনদের সম্পদে রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন ভূমিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামার প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৩শে মে) ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনে ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভূমিমন্ত্রী সহকারী কমিশনার-ভূমি (এসিল্যান্ড)-দের এই নির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থা এবং মাঠ পর্যায় থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রস্তাবিত ১০টি ইনোভেশন উদ্যোগ প্রদর্শিত হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইনোভেশন শোকেসিং অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।

নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, দেশে বেশিরভাগ পারিবারিক বিরোধের কারণ হচ্ছে ভাই-বোনদের মধ্যে রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা ছাড়াই মৌখিকভাবে বা সাধারণ কাগজে লিখে আপোষে সম্পত্তি বণ্টন করা। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কারণে আপোষ ভেঙে গিয়ে কলহ শুরু হয়। তিনি উল্লেখ করেন, খতিয়ানে ভিন্ন ভিন্ন মালিকানাভিত্তিক দাগ উল্লেখ থাকলে অনেকাংশে বিরোধ এড়ানো সম্ভব। এসময় এসিল্যান্ডদের মাঠ পর্যায়ে ভূমি ব্যবস্থাপনার 'কি-পারসন' উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের এ ব্যাপারে নিজ উদ্যোগে কাজ করতে হবে এবং প্রয়োজনে উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে।

আরো পড়ুন: দেশে ও বিদেশে কর্মীদের সুরক্ষায় কাজ করছে সরকার

ভূমিমন্ত্রী পারিবারিক সম্পদ বণ্টনে বোনদের অধিকার নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরো বলেন, সরকারি জমি রক্ষার পাশাপাশি নাগরিকদের ন্যায্য জমির মালিকানাও রক্ষা করতে হবে। ভূমি কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে যথাযথ কাজ করার আহ্বান জানান। মিথ্যা মামলার প্রতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আজকের স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বিগত দিনের উদ্ভাবনী উদ্যোগের ফলে। আগামীতে আরো অগ্রগতি আমরা লাভ করব। ভূমিসহ অন্যান্য সেক্টরে কার্যকরী উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ভূমি অফিসের কর্মকর্তাগণ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ, ল্যান্ড কনসালট্যান্টবৃন্দ এবং ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন ভেন্ডার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এসি/ আই.কে.জে/

ভূমিমন্ত্রী উত্তরাধিকার সম্পদ

খবরটি শেয়ার করুন