বুধবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩রা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা : ধারা অনুযায়ী যা যা করতে পারবে সেনাবাহিনী *** ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী *** অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না : তারেক রহমান *** ৪৩তম বিসিএস : স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পরই নিয়োগ *** নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, আশুলিয়ায় শনিবার থেকে বন্ধ কারখানা চালু *** ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ১৫২ মামলা, জরিমানা ৭ লাখ টাকা *** সাবেক রেলমন্ত্রীকে রিমান্ডে পাঠানোর পর আদেশ স্থগিত *** কোন স্ট্যাটাসে দিল্লিতে শেখ হাসিনা, জানে না অন্তর্বর্তী সরকার *** বাংলাদেশকে আরও ২ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক *** জীবিকা সংকটে শান্তিপ্রিয় খুমিরা || দরকার বিত্তবানদের সহযোগিতা

সন্ধ্যায় কোটা আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি দেবেন

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৬ অপরাহ্ন, ১৩ই জুলাই ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা শনিবার (১৩ই জুলাই) দেশের সব জেলা এবং ক্যাম্পাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জনসংযোগ করবেন। পরে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।

এর আগে শুক্রবার (১২ই জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগে এসে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। প্রায় এক ঘণ্টা তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়টি অবরোধ করে রাখেন। এতে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পরে সেখান থেকেই তারা পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলেন, শনিবার (১৩ই জুলাই) দেশের সব জেলা এবং ক্যাম্পাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জনসংযোগ করা হবে। একই সঙ্গে পূর্বঘোষিত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচিও চলমান থাকবে।

এ বিষয়ে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, যারা কখনোই চাকরি করবে না, তারা প্রশ্ন তুলছে আমাদের আন্দোলন নিয়ে। যতগুলো প্রতিষ্ঠানে রক্ত ঝরছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। যেখানেই হামলা হবে, আমরা দাঁতভাঙা জবাব দেব। আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমাদের একমাত্র চাওয়া একটি মেধা।

আরেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, আমরা এসেছিলাম দেশের হাল ধরতে। আমাদের এক দফা মেনে নিন। পড়ার টেবিলে ফেরত যেতে দিন।

আরো পড়ুন: কোটা সংস্কারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে ওই বছরের ৪ঠা অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ই জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন।

এসি/কেবি

কর্মসূচি আন্দোলনকারী

খবরটি শেয়ার করুন