শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁঠাল খাবেন যে কারণে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:০৩ অপরাহ্ন, ৩রা জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল এলেই ফলের রাজা কাঁঠালের ধুম পড়ে যায়। কারণ কাঁঠালের রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। কাঁচা থেকে পাকা নানাভাবেই কাঁঠাল খাওয়া হয়। কাঁঠাল কেন খাবেন, কীভাবে খাবেন আর কারা খাবেন না, চলুন জানা যাক-

কাঁঠাল শুধু যে পাকার পরেই খাওয়া হয় তা নয়। কাঁঠালের মুচি, কাঁচা কাঁঠাল রান্না করেও খাওয়া হয়। এমনকি পাকা কাঁঠালের বিচিও খাবার হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কাঁঠালের শিকড়ও ব্যবহার করা হয়।

অনেক কোষ থাকায় ১টা ফল হওয়া সত্ত্বেও পরিবারের সবাই মিলে কাঁঠাল খাওয়া যায়। কাঁঠালকে বলা হয় গরিবের মাংস। কারণ এর পুষ্টিগুণ অনেক ফলের চেয়ে বেশি। 

আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ উপাদান কাঁঠালে আছে। যেমন থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনসহ আমিষ, শর্করা এবং বিভিন্ন রকম ভিটামিনের সম্ভার হচ্ছে এই কাঁঠাল। পাকা কাঁঠালে আমের চেয়ে কম শর্করা থাকে বলে ডায়াবেটিস রোগীরা পরিবেশন হিসেবে ৩ কোষ করে খেতে পারেন। ম্যাঙ্গানিজ থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। তারপরও পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে খাওয়া উচিত। পটাশিয়াম বেশি থাকায় উচ্চরক্তচাপ রোগীরা খেতে পারবেন। 

আরো পড়ুন : ড্রাই ফ্রুটস কীভাবে খেলে উপকার দ্বিগুণ পাবেন?

গর্ভবতী মায়েরা মৌসুমে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম কাঁঠাল খেলে মা ও শিশুর বেশিরভাগ পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। আবার অন্যদিকে স্তন্যদানকালে কাঁঠাল খেলে মায়ের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কাঁঠালের ফাইটো-নিউট্রিয়েন্টস বার্ধক্য প্রতিরোধ করে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন বি৬ কাঁঠালে আছে। যার জন্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

গালা ও খাজা এ দুটি জাত ছাড়াও কাঁঠালের আরও জাত আছে। গালা ও খাজা কাঁঠালের মাঝামাঝি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হিসেবে রয়েছে ‘রসখাজা’। এ ছাড়া আছে রুদ্রাক্ষি, সিলোন, বারোমাসি, গোলাপগন্ধা, চম্পাগন্ধা, পদ্মরাজ, হাজারী প্রভৃতি। এর মধ্যে শুধু হাজারী কাঁঠাল বাংলাদেশে আছে, বাকিগুলো ভারতে আছে।

দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া যায় কচি বা কাঁচা কাঁঠাল আর কাঁঠালের বিচি। কাঁঠাল যখন কাঁচা অবস্থায় থাকে, তখন তাকে এঁচড় বলে। মাংস দিয়ে এঁচড় রান্না খুবই মজার। এঁচড়ের সঙ্গে মুগডাল মিশিয়ে মজাদার দইবড়াও বানানো যায়। আবার ফ্রিজে জমিয়ে রাখলে কয়েক মাস খাওয়া যায়। অন্যদিকে কাঁঠালের মৌসুমে কাঁঠালের বিচি তো খাওয়াই যায়। আবার শুকিয়ে সংরক্ষণ করে আরও কয়েক মাস তরকারিতে দিয়ে, ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যায়।

ঔষধি গুণে আয়ুর্বেদে দেখা যায় কাঁঠালের শিকড় অ্যাজমা, জ্বর, চর্মরোগ, ডায়রিয়ায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

কাঁঠালে আমিষ থাকায় এটি একটি গুরুপাক ফল। সে জন্য কাঁঠালে কারও বদহজম হলে না খাওয়াই ভালো। যাদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি বা কিডনি রোগী তাদের কাঁঠাল না খাওয়াই ভালো।

এস/  আই.কে.জে

কাঁঠাল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা

খবরটি শেয়ার করুন