শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে দোয়া পড়লে পাহাড় সমান ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, ১৬ই মে ২০২৪

#

প্রতীকী ছবি

পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তাআলা ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে ঋণমুক্ত করে দেবেন। হাদিসে বর্ণিত দোয়ার আমলেই তা সম্ভব। কারণ

দোয়া ইবাদতের মগজ। ভাগ্য পরিবর্তনে দোয়া অসামান্য ভূমিকা পালন করে। এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে- হযরত সাওবান রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন নেককাজ ব্যতীত অন্য কিছুতেই আয়ু বৃদ্ধি পায় না এবং দু'আ ব্যতীত তকদীর পরিবর্তন হয় না। আর পাপাচারের কারণেই মানুষকে তার জীবিকা থেকে বঞ্চিত করা হয়।  -সুনানে ইবনে মাজাহ ৯০।

আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- মহান আল্লাহর নিকট দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোন জিনিস নাই। ইবনে মাজাহ- ৩৮২৯।

ঋণমুক্তির দোয়া

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি, ওয়াল হাযানি, ওয়া আঊযু বিকা মিনাল-আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল।

অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে। বুখারি-২৮৯৩

এ সম্পর্কে হাদীসে শরীফে আরেকটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে-

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।

অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম হতে বিরত রাখ বা দূরে রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ব্যতীত অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়া হতে আমাকে আত্মনির্ভরশীল কর”।

হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত। একটি চুক্তিবদ্ধ গোলাম তার নিকটে এসে বলল, আমার চুক্তির অর্থ পরিশোধ করতে আমি অপরাগ হয়ে পড়েছি। আমাকে আপনি সহযোগিতা করুন। তিনি বললেন, আমি তোমাকে কি এমন একটি বাক্য শিখিয়ে দিব না যা আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার উপর সীর (সাবীর) পর্বত পরিমাণ ঋণও থাকে তবে আল্লাহ তা’আলা তোমাকে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন। তিনি বলেন তুমি বল, “হে আল্লাহ! তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম হতে বিরত রাখ বা দূরে রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ব্যতীত অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়া হতে আমাকে আত্মনির্ভরশীল কর”। তিরমিজী শরীফ- ৩৫৬৩

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ঋণ পরিশোধে বিশুদ্ধ নিয়ত ও সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পাশাপাশি সকাল-সন্ধ্যা এবং প্রত্যেক নামাজের দুই সেজদার মাঝে উল্লেখিত দোয়াগুলো পড়া। আল্লাহর কাছে ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক কামনা করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঋণ পরিশোধের তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। ঋণ পরিশোধ করার মাধ্যমে সবাইকে সর্বোত্তম আমলকারী হিসেবে কবুল করুন। আমিন।

ওআ/

দোয়া

খবরটি শেয়ার করুন