সোমবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১লা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া, বাড়বে রিজার্ভ

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ১২:৪৫ অপরাহ্ন, ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি - সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশী কাজ করছেন। প্রবাসীদের আয়ে রেমিট্যান্স আসার কারণে রিজার্ভ বাড়ে, শক্তিশালী হয় দেশের অর্থনীতি। বছরে আড়াই হাজার কোটি ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স অর্থনীতিতে যোগ হয়। গত দুই বছর বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে রিজার্ভ কমে যাওয়ায় চাপের মুখে পড়ে অর্থনীতি।

চলতি আগস্ট মাসে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেকর্ড পরিমাণ ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৬ হাজার ৫শ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেমিট্যান্সের পালে নতুন হাওয়া লেগেছে, যার কারণে রিজার্ভও বেড়েছে।

প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর এই ধারা অব্যাহত থাকলে খুব দ্রুতই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ সংকট দূর হবে। বাড়বে ডলারের সরবরাহ এবং গতি ফিরবে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। যার কারণে ব্যবসায়ীরা দ্রুত এলসি খোলার সুযোগ পাবেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রেমিট্যান্সের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রেমিট্যান্স না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা নেয়া হয়েছিল। তখন রেমিট্যান্সের উপরও একপ্রকার শাটডাউন ছিল। জুলাই মাসের পুরোটা সময় অস্থিরতার কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা পড়েছিল।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, রেমিট্যান্সের গতি বাড়লেও ডলার সংকট পুরোপুরি দূর হতে সময় লাগবে। এ জন্য ডলারের সর্বোচ্চ দর ১২০ টাকা বেঁধে দিয়েছেন ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি প্রধানরা।

বিগত বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক লুটপাট, দুর্নীতি এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ অনুকূল না থাকার কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় রেমিট্যান্স বাড়ার কারণে অর্থনীতিবিদরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। যদি আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়, তাহলে বিনিয়োগ বাড়বে। যার ফলে অর্থনৈতিক সংকট কেটে যাবে। সামগ্রিক অর্থনীতিতে সুবাতাস বইবে।

আই.কে.জে/

রেমিট্যান্স

খবরটি শেয়ার করুন