বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : রাষ্ট্রপতি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩০ অপরাহ্ন, ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ফাইল ছবি

সরকার বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। 

শুক্রবার (২৩রশ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে দুই দিনব্যাপী ‘একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশিয়ার সাংবিধানিক আদালত: বাংলাদেশ ও ভারত থেকে শিক্ষা’ শীর্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, আদালতের হস্তক্ষেপগুলো যেন সাংবিধানিকতার নীতি, ক্ষমতা ভারসাম্য ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পরিচালিত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষমতার সঙ্গে দায়িত্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আবার ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে এবং ক্ষমতার যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকে কঠোরভাবে নজর রাখতে হবে।

বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বিচার বিভাগকে শামিল হতে হবে।

বিচারকদের উদ্দেশ্যে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, বিচার প্রার্থীরা অত্যন্ত কম খরচে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ন্যায়বিচার পাবে এবং বিচারকগণ তাদের মেধা এবং মননশীলতার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করেছে এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এটি মানুষের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং স্বল্প সময়ে বিচার প্রার্থীদের ন্যায়বিচার প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: মজুতকারীদের গণধোলাই দেওয়া উচিত

তিনি বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে যখনই প্রয়োজন হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট তার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সংবিধানকে রক্ষা করেছে। শান্তি ও সংকটে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের অভিভাবক ও রক্ষক হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ষড়যন্ত্রকারীদের সেই নীলনকশা বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের নিজ নিজ যাত্রায় অনন্য পথ অতিক্রম করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশই এমন দৃষ্টান্ত প্রত্যক্ষ করেছে যেখানে বিচার বিভাগ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায়, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসনের নীতিগুলোকে সমুন্নত রাখতে হস্তক্ষেপ করেছে।

এসকে/ 

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিচার বিভাগ

খবরটি শেয়ার করুন