কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল। ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
টানা তিনদিন ধরে কক্সবাজারে ভারী বর্ষণ চলছে। বঙ্গোপসাগরও প্রচণ্ড উত্তাল। তবু কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গত তিনদিনে এসেছেন দুই লাখের বেশি পর্যটক। এর মধ্যে আজ রোববার (৬ই জুলাই) সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সৈকতে নেমেছেন অন্তত ৭৫ হাজার পর্যটক।
কক্সবাজার হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান গণমাধ্যমকে বলেন, গত শুক্রবার (৪ঠা জুলাই) থেকে আজ পর্যন্ত তিনদিনের ছুটিতে পাঁচ লাখ পর্যটক সৈকত ভ্রমণে আসার কথা ছিল। এর জন্য শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল রিসোর্ট গেস্টহাউস-কটেজের ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় বহু পর্যটক বুকিং বাতিল করেন। তিন দিনে সৈকত ভ্রমণে এসেছেন দুই লাখ পর্যটক। আজ হোটেলে অবস্থান করছেন ৬০ হাজারের মতো পর্যটক। আগামীকাল সোমবার (৭ই জুলাই) সকাল থেকে পর্যটকের সংখ্যা ২০ হাজারে নেমে আসবে।
আজ সকাল ১০টায় সৈকতে সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার পর্যটক বালুচরে দাঁড়িয়ে উত্তাল সমুদ্র ও তার গর্জন উপভোগ করছেন। ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নামতে নিষেধ করে বালুচরে একাধিক লাল নিশানা ওড়ানো হয়েছে। কিন্তু অনেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তাল সাগরে ঝাঁপ দিচ্ছেন। লাইফগার্ড কর্মীরা বাঁশি বাজিয়ে কিছু পর্যটককে কূলে তুলে আনতে সক্ষম হলেও অনেকে টিউবে গা ভাসিয়ে মাথাসমান পানিতে গিয়ে ঢেউয়ের সঙ্গে লড়ছেন। সুগন্ধার দক্ষিণ পাশে কলাতলী এবং উত্তর পাশের সিগাল ও লাবণি পয়েন্টের কয়েক কিলোমিটারেও হাজার হাজার পর্যটককে উত্তাল সমুদ্রের পানিতে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে।
সমুদ্রে গোসলে নেমে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত আছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সি-সেফ লাইফগার্ডের ২৬ জন কর্মী। কলাতলী থেকে লাবণি পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সৈকতে তারা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।
সি–সেফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার সিফাত সাইফুল্লাহ বলেন, গত শুক্র ও শনিবার দুইদিন সৈকতের এ পাঁচ কিলোমিটারে নেমেছেন অন্তত দেড় লাখ পর্যটক। আজ বেলা ১টা পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পর্যটকের সংখ্যা অর্ধেক কমে গেছে, না হলে ৫-৬ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটত।
খবরটি শেয়ার করুন