সোমবার, ১৭ই জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দারিদ্র্য দূর করার মাধ্যমেই সত্যিকার শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব : সম্প্রীতি বাংলাদেশের আলোচনা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:০১ পূর্বাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

দারিদ্র‍্য দূর করার মাধ্যমেই সত্যিকার শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জুলিও কুরি পুরস্কার প্রাপ্তির ৫১তম বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৩শে মে) সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘‘শান্তি ও সম্প্রীতির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু’’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতির পিতার বিভিন্ন উক্তিকে স্মরণ করে প্রধান অতিথি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বশান্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও কর্মময় জীবনসংগ্রামকে ধারণ করা দরকার। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবন এবং কর্মে বিশ্বশান্তি ও সমৃদ্ধির বিষয়কে আজীবন গুরুত্ব দিয়েছেন। একটি পশ্চাদপদ পরাধীন জনগোষ্ঠীকে স্বাধীনতার সুফল এনে দিয়ে এবং একই সাথে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে তিনি বিশ্ব মাঝে বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। হয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু। বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবনকে ধারণ করবার জন্য প্রধান অতিথি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর রচিত গ্রন্থগুলো পাঠ করার আহবান জানান। শুধু পাঠ নয়, বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শনকে নিজ নিজ জীবনেও চর্চা করতে বলেছেন তিনি।  

সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পুরস্কার ও পদ্মশ্রী প্রাপ্ত লে. ক. (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতীক), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও গণমাধ্যম কর্মী চঞ্চল খান, বঙ্গবন্ধু গবেষক আফিজুর রহমান প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তিপদক পাওয়াটা তাঁর সামগ্রিক জীবনের ত্যাগ, সংগ্রামী নেতৃত্ব এবং বিশ্বমানবতার প্রতি তাঁর একনিষ্ঠ ভালবাসার গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় মাত্র।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

সমকালীন বিশ্বের অশান্ত পরিস্থিতি চিরতরে দূর করার ক্ষেত্রে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন এবং দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধে জুলিও কুরি পদকের প্রবক্তা বিশ্বশান্তি পরিষদের সমর্থন ও সম্পৃক্ততার কথাও তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। 

’৪৬  থেকে ’৭৫ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সাহসী ভূমিকা ও ত্যাগের কথা উল্লেখ করে মুখ্য আলোচক লে. ক. সাজ্জাদ আলী জহির দেশের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান। মহান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী বিশ্বশান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে সম্মানিত করে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকেই সম্মানিত করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন আলোচকবৃন্দ। 

একটি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার পাশাপাশি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু যে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন সেজন্য বিশ্বশান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে ধারণ করে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

এইচআ/ আই.কে.জে/ 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জুলিও কুরি পুরস্কার

খবরটি শেয়ার করুন