শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যবসায়ীদের দাবি চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, ২৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্য মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পথে পথে চাঁদাবাজি, অযৌক্তিক শুল্ক আরোপ ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সিন্ডিকেটের কারণে ধাপে ধাপে বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম। এসব স্তরে সরকার কঠোর হলে দাম নাগালে রাখা সম্ভব। এ সময় রোজার আগে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাব নিত্যপণ্যের ওপর পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তারা।

বুধবার রাজধানীর মতিঝিলের আইকন ভবনে এ সভার আয়োজন করে এফবিসিসিআই। এতে নিত্যপণ্যসামগ্রী উৎপাদক, আমদানিকারক ছাড়াও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।

শুরুতে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক ও ন্যায্য মুনাফা করতে হবে। পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে দাম যাতে অস্বাভাবিক না হয়, সে জন্য তদারকি জোরদার করতে হবে।

অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কথা বলবে না জানিয়ে তিনি বলেন, কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন বাজার সমিতির নেতাদের সতর্ক থাকতে হবে। কৃত্রিম সংকট ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাঁদা চাইলে এফবিসিসিআইর হটলাইনে কল করে তথ্য দিলে তা সরকারকে জানানো হবে।

রমজানে বাজার তদারকির বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, পুলিশ দিয়ে বাজার তদারকির দরকার নেই। বাজার কমিটির নেতারা করলেই হবে। পণ্যের মূল্য তদারকি না করলে ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। ফলে প্রতিটি বাজার কমিটিকে নিজে থেকেই এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেন মিল মালিক, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, রমজানের পণ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে, দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার বলেন, রমজানে বেগুনের চাহিদা শতগুণ বেড়ে যায়। নৈতিকতা না থাকলে সেমিনার করে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। পচনশীল হওয়ায় কাঁচামাল মজুত করা যায় না। সরবরাহ ঠিক রাখতে রোজার তিন-চার মাস আগেই প্রণোদনা দিয়ে সরকারিভাবে চাষাবাদের ব্যবস্থা করা দরকার।

কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুজন বলেন, পণ্য বহনকারী ট্রাক থেকে কয়েক ধাপে চাঁদা নেওয়া হয়। ট্রাক থেকে পণ্য আড়তে নেওয়া, আড়ত থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের গন্তব্যে যাওয়া পর্যন্ত স্তরে স্তরে চাঁদা দিতে হয়। এসব কারণে দাম বেড়ে যায়।

চাঁদাবাজি নিয়ে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সমর্থন করে এফবিসিসিআই পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, রাস্তায় পুলিশ, নেতা, মেয়র, জেলা প্রশাসক, শ্রমিক কল্যাণ সংস্থা, ট্রাকে পণ্য বোঝাই-খালাসসহ সবখানে চাঁদাবাজি হয়। এ বিষয়ে তথ্য চাইলে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ করতে পারবেন। চাঁদাবাজি বন্ধ ছাড়া দাম কমবে না।

আই.কে.জে/

চাঁদাবাজি

খবরটি শেয়ার করুন