ছবি: সংগৃহীত
হতে পারে, বেশ কয়েক বছর ধরে যৌনজীবন উপভোগ করছেন আপনি। কিন্তু যৌনতা সম্পর্কে বেশ কয়েকটি সত্য তথ্য সম্পর্কে হয়তো ধারণা নেই আপনার। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন থেকে এখানে জেনে নিন, সেক্স বিষয় সম্পর্কে কয়েকটি বাস্তব সত্য। মানুষের নানা ভুল ধারণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।
যৌনতায় পুরুষাঙ্গের আকার কোনো বিষয় নয়। এটা এক ধরনের কাজ। দক্ষতার ওপর ভর করে উপভোগ্য হয়ে ওঠে যৌনতা। দু’টি কনডম একসঙ্গে ব্যবহার করা মানে বেশি নিরাপত্তা নয়।
প্রথমবার সেক্স করার সময় যদি কোনো গান বাজিয়ে পরিবেশটাকে রোমান্টিক করার চেষ্টা করেন, তবে ওই গান আজীবন আপনাকে তাড়া করে ফিরবে। নিয়মিত ধূমপান পুরুষের যৌনাঙ্গের আকার গড়ে এক সেন্টিমিটার পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।
যৌনকর্মের পর নারীর দেহে পুরুষের শুক্রাণু টানা পাঁচদিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারে। প্রচলিত আছে, সেক্স করার পর নারীদের দেহে পুরুষের বীর্য ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। আসলে এটি নারীদের দেহে পাঁচ দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে তা নির্ভর করে নারীদের সার্ভিক্যার মিউকাসের বৈশিষ্ট্যের ওপর। সার্ভিক্যার মিউকাস শুক্রাণুকে সংরক্ষণ করে গর্ভাশয়ের উর্বর অবস্থায় ডিম্বোস্ফোটনে সহায়তা করে।
সেক্স না করা হলে ধীরে ধীরে পুরুষের যৌনাঙ্গের আকার কমে যায়। নারীর ত্বকে যে বলিরেখা পড়ে, পুরুষের বীর্যে সেই বলিরেখা দূরীকরণের উপাদান রয়েছে। বীর্যে জিঙ্ক ও ক্যালসিয়ামও রয়েছে, যা দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। অণ্ডকোষে বীর্য তৈরিতে যেসব উপাদান সাধারণত প্রয়োজন হয়, সেগুলো হলো শর্করা, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-১২ এবং আরও কিছু রাসায়নিক পদার্থ। নিয়মিত স্বাভাবিক যৌন মিলনের মধ্যে নারীর দাঁত লাভ করে ক্ষয় রোধের ক্ষমতা।
ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিউটি ব্লগার লিউইস জানান, বীর্যের মধ্যে স্পার্মাইন নামের যৌগ থাকে। এটা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা নারীর ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা প্রতিরোধ করে।
এমনকি ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যাও কমিয়ে দেয়। সিমেন ফেসিয়াল বাড়িতেও করা যায়। সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট। ফ্রেশ সিমেন নিয়ে নারী মুখের উপর ভালো করে ঘষতে হবে। এরপর এটা ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। ত্বক সিমেন শুষে নেবে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
একটি ধারণা প্রচলিত আছে, তা হলো, বীর্য নারীদের জন্য অ্যালির্জিক বা প্রদাহজনক হতে পারে। কিন্তু পুরুষের বীর্য নারীদের জন্য অ্যালার্জিক হবে, তা প্রায় অসম্ভব। তবে যদিও হয়, তবে এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
আর যৌনতার সময় নারীর চিৎকার বা কান্নাকাটির অর্থ এই নয় যে তিনি তা উপভোগ করছেন না। যোনিপথের ‘জি স্পট’ নিয়ে বহু বিতর্ক থাকলেও এটা কোনো ভুল ধারণা নয়। আগ্রহী থাকলে একে পেয়ে যেতে পারেন। যৌনতার সময়ে নারীর দেহ বারবার সঙ্কুচিত করা হলে দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ নারী তখন অর্গাজমের অনুভূতি পেয়েছেন।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন