শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছয় মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ১১ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১১:০২ অপরাহ্ন, ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বাড়ার যে প্রবণতা শুরু হয়েছিল, সেখান থেকে বের হয়ে আসছে ব্যাংক খাত। গত ছয় মাস ধরে খেলাপি ঋণ কমে আসছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খেলাপি ঋণ কমে আসার এ প্রবণতা আগামী প্রান্তিকগুলোতে অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে এর সুফল মিলবে। পাশাপাশি আগামীতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত ছয় মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কমেছে ৬৪২ কোটি টাকা এবং ডিসেম্বর প্রান্তিকে কমেছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘খেলাপি ঋণ কমে আসার এ প্রবণতা আগামী প্রান্তিকগুলোতে অব্যাহত থাকলে তবেই অর্থনীতিতে এর সুফল মিলবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ এখন উদ্যোক্তারা ব্যবসায় মনোযোগী হবেন। তারা বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করবেন। এতে তাদের ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা বাড়বে। যদি আগামী প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ কমে আসে, তাহলেই এটাকে সাফল্য হিসেবে বলা যাবে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত বছরের জুন প্রান্তিক শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এটি মোট বিতরণকৃত ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। আর ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকায় নেমেছে, যা বিতরণ করা ঋণের ৯ শতাংশ। এর আগে সেপ্টেম্বরের শেষে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে খেলাপি ঋণ কমানোর উদ্যোগে সাফল্য এসেছে। কারণ, ঋণখেলাপি থাকলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। তাই নির্বাচনে অংশ নিতে খেলাপি থেকে বাঁচতে ঋণ পরিশোধ করেছেন অনেকে। আবার প্রভাব খাটিয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ঋণ নিয়মিত করছে কোনও কোনও গোষ্ঠী। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ অবলোপন করেছে ব্যাংকগুলো।

আই.কে.জে/


খেলাপি ঋণ

খবরটি শেয়ার করুন