বৃহস্পতিবার, ২৪শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ক্রিকেটে রাজনীতি চায় না এসিসি, এশিয়া কাপের ঘোষণা দেবে ভারত *** মাইলস্টোনে দগ্ধদের চিকিৎসায় চীনের চিকিৎসক দল আসছে রাতে *** মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: ডিএনএ পরীক্ষায় ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত *** ১৫ শতাংশের নিচে নামবে না শুল্ক, ঘোষণা ট্রাম্পের *** সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় বিএনপি *** আরও মামলায় গ্রেপ্তার ইনু-পলক-মমতাজ *** সমালোচনার মুখে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ড্রেস কোড’ প্রত্যাহার *** সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো আসছে, পে কমিশন গঠন *** স্থানীয় সরকার নির্বাচনে থাকছে না দলীয় প্রতীক: উপদেষ্টা আসিফ *** গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারকে জানাতে হবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:১০ অপরাহ্ন, ১৬ই জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। এটি উৎপাদন খরচ কমানো, কর্মদক্ষতা বাড়ানো এবং সময় সাশ্রয়ের মাধ্যমে শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করছে। মানুষের জীবনকে আরও সহজ, দ্রুত এবং কার্যকর করে তুলছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এআই শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, বরং একটি পরিবর্তনের মাইলফলক।

বর্তমান সময়ে নানা কিছুর প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে এআই প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে এমন একটি স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিকে বোঝায়, যা মানুষের বুদ্ধিমত্তা, শেখার ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমস্যা সমাধানের মতো গুণাবলি কম্পিউটার বা যন্ত্রের মাধ্যমে অনুকরণের চেষ্টা করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নানা ক্ষেত্রে মানুষের জায়গা দখলে করে নিচ্ছে। 

বিশ্বজুড়ে অনেক প্রতিষ্ঠান এআই প্রযুক্তি নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে। রোবট, গবেষণায় চ্যাটবট, ডিজাইন ও ওয়েবসাইট তৈরিতে মিডজার্নি বা লিওনার্দো এআই-এর মতো টুল ব্যবহার হচ্ছে। এসব প্রযুক্তি আমাদের কাজকে দ্রুত ও সহজ করছে। এআই-এর প্রধান লক্ষ্য হলো মানুষের চিন্তাশক্তিকে যন্ত্রে প্রয়োগ করে কাজের দক্ষতা ও গতি বাড়ানো। এটি দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে। এজন্যই এআই বিভিন্ন সেক্টরে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবন এবং পেশাগত কাজে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মাত্র কয়েক বছর আগেও যা কল্পনা করা যেত না, এখন তা হয়ে উঠেছে বাস্তবতা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে খুঁজে পাওয়া যায়। ক্ষেত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫৬ সালে ডার্টমাউথ সম্মেলনের সময় তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে ‘চিন্তা মেশিন’ ধারণাটি চালু হয়। ২০১০ সালে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর বিপ্লবের সূচনা ঘটে। তখন থেকে মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি দ্রুত উন্নত হতে শুরু করে। ২০১২ সালে ডিপ লার্নিং-এর সাহায্যে প্রথমবারের মতো চিত্র সনাক্তকরণে বড় ধরনের সাফল্য অর্জিত হয়। একই বছর গুগলের মধ্যে এআইয়ের ব্যবহার বেড়েছে। এরপর ২০১৫ সালে গুগল, ফেসবুক এবং অ্যামাজনের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টরা এআই গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করে। 

২০১৭ সালে ট্রান্সফরমার আর্কিটেকচারের আবিষ্কার এআই-এর ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। পরবর্তীতে যা চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই এর বিকাশে সহায়ক হয়। এআই এখন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চালানো, রোগ নির্ণয় এবং জটিল ডেটা বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও গতিশীল করে তুলেছে। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এ নতুন প্রযুক্তি অন্তত ১৩৩ মিলিয়ন চাকরির সুযোগ তৈরি করবে। শুধু তাই নয়, এ প্রযুক্তির উপরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ৩০ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

এআই কিছু চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। যেমন কর্মসংস্থানে পরিবর্তন, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার উদ্বেগ এবং প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা। এআই ব্যবহার করে যে কারো তথ্য খুব সহজে বের করা সম্ভব। এআই সিস্টেমগুলো বিপুল পরিমাণে ব্যক্তিগত ডেটা সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করতে পারে।

ফলে এর অপব্যবহারের সুযোগ থাকে। সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে এআই মানবজাতির উন্নতির জন্য এক সহায়ক পদ্ধতি হতে পারে। এআই এর সুফল ভোগ করতে হলে এর নিরাপত্তা, নৈতিক ব্যবহার ও সঠিক নিয়মনীতি প্রণয়ন জরুরি, যাতে এটি মানবতার জন্য আশীর্বাদ হয়, অভিশাপ নয়।

এআই

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন