সোমবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১লা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপদেষ্টা পরিষদে সিদ্ধান্ত

গণভবন হবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১০:০৫ অপরাহ্ন, ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

গণভবনকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করা হবে। বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটি বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের পঞ্চম বৈঠক। ওই বৈঠকেই গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘরে রূপ দিয়ে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হ‌য়। 

বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। রাজধানীর ফরেন সা‌র্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে’ পরিণত করা হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গণভবন যেমন ছিল, তেমন রেখে স্মৃতি জাদুঘর করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, গণভবনের বর্তমান অবস্থার বড় কোনো পরিবর্তন না করেই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করবে সরকার। দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন স্মৃতি মেমোরিয়াল করা হয়েছিল। আরও অন্য দেশেও হয়েছে। তাদের থেকে জেনে গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘর করা হবে, সেখানে ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্মকাণ্ড প্রদর্শিত হবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন ছিল গণভবন। এর আগে কোনো প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা নগরের এই বাসভবনে থাকেননি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শেরে বাংলা নগরে বর্তমান গণভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে তিনি সেখানে অফিস শুরু করেন। তবে তিনি থাকতেন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ই আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেদিন গণভবনে ঢুকে উল্লাস করেন হাজার হাজার জনতা। সেই সঙ্গে তাদের গণভবন থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্রও নিয়ে যেতে দেখা যায়। অবশ্য পরবর্তীতে লুটে নেওয়া অনেক আসবাবপত্র সংশ্লিষ্টদের কাছে ফেরত দিয়েছেন অনেকে।

আই.কে.জে/

গণভবন

খবরটি শেয়ার করুন