ছবি: সংগৃহীত
ইদানীং ভারতীয় পণ্য বয়কটের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে বিএনপিও সায় দিচ্ছে। কিন্তু আমার মতামত হলো, এই ভারতীয় পণ্য বয়কট কেবলই একটি পলিটিক্যাল স্টান্ট।
শুক্রবার (২৯শে মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, এবারের সংসদীয় কমিটিতে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ইস্যু হলো, প্রায়ই আমরা প্রবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাই। আপনারা জানেন যে, বিদেশে চলা সবগুলো মিশনের একজন প্রধান ইনস্পেকটর আছেন। আমরা সুপারিশ করেছি যে, প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে কতগুলো এবং কী অভিযোগ আসে, তার বিবরণ যেন আমাদের জানানো হয়।
আরো পড়ুন: রাজার আমন্ত্রণে ভুটান গেলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এছাড়া যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই, সেসব দেশে অনারারি কাউন্সিল খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যবস্থা গ্রহণ, বিদেশি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আয়োজন, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জসহ বিদেশের কোন কোন জেলে কত বাংলাদেশি বন্দি এবং মুক্তির বিষয়ে মিশনগুলো কী করেছে, সেসবের বিবরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মানবাধিকার বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন উইং আছে, আমরা সুপারিশ করেছি এর পাশাপাশি যেন মানবাধিকার উইং খোলা হয়।
এছাড়া সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি নাবিকদের বিষয়ে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি, এমনকি কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন যে, নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে, শিগগিরই একটি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।
এইচআ/ আই.কে.জে