ছবি: সংগৃহীত
শারীরিক ও মানসিক সমস্যার পাশাপাশি আমাদের যৌনস্বাস্থ্য নিয়েও বেশ সচেতন থাকতে হয়। নারীদের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর যৌনজীবন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সজাগ থাকতে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হয়।
অনেকে এমন আছেন, যারা এ বিষয়ে চিকিৎসকের কাছে খোলাখুলি কথা বলতে খুব বেশি স্বচ্ছন্দ হন না। চিকিৎসকের কাছে গেলেও বেশ কিছু কথা গোপন করে যান। এতে সমস্যা বাড়ে। শরীরে অজান্তে বাসা বাঁধে জটিল রোগ-ব্যাধি। জেনে নিন, কোন কথাগুলো কোনোদিন স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের কাছে গোপন করবেন না।
১) ঋতুস্রাবের সময়ে পেটে ব্যথা কমবেশি সব নারীই অনুভব করেন। তবে সেই ব্যথার তীব্রতা যদি খুব বেশি বেড়ে যায়, তা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ লক্ষণ এন্ডোমেট্রিয়োসিসের রোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যার প্রভাব পড়তে পারে আপনার যৌনজীবন ও সন্তানধারণের ক্ষমতার উপরে।
২) সঙ্গমের সময়ে তীব্র যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক নয়। অনেক সময়ে যোনি এলাকা শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে মিলনের ক্ষেত্রে অস্বস্তি হয়, যন্ত্রণা হয়। শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে যাওয়ার কারণে যোনি এলাকা শুষ্ক হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩) যোনিমুখে যদি কোনও রকম মাংসপিণ্ড তৈরি হতে দেখেন, তা হলে সতর্ক হতে হবে। এটি হার্পিস নামক যৌনবাহিত রোগের লক্ষণ।
৪) যোনিস্রাবের রং যদি হঠাৎ বদলে যেতে শুরু করে, হালকা হলুদ বা সবুজ রঙের যোনিস্রাব যৌনরোগের লক্ষণ। তাই এ রকম কিছু লক্ষণ দেখলে সচেতন হন এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫) যোনি থেকে আঁশটে গন্ধ আসাও স্বাভাবিক নয়। অনেক সময়ে এমনটা হলে নারীরা তা গোপন করে যান, ফলে কোনো শারীরিক জটিলতা ধরা পড়ে না। সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। এ রকম হলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানাতে হবে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন