ছবি : সংগৃহীত
মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। রোববার (২৮শে জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এছাড়া আগামী বুধবার (৩১শে জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
চুয়াডাঙ্গা শহরে কামাল উদ্দিন নামে এক নৈশপ্রহরী জানান, তীব্র শীতে রাত জেগে দায়িত্ব পালন করতে হয়। কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাসে মনে হয় বরফ হয়ে যাচ্ছে শরীর।
আরো পড়ুন : যমুনা নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধের উদ্বোধন
আবুল কালাম আজাদ নামে এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, ফজরের নামাজ আদায় শেষে হোটেলের রান্নাবান্না শুরু করতে হয়। পানি এতো পরিমাণ ঠাণ্ডা যে হাত দেওয়া যায় না। তবুও পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার তিন উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ সদর হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোটাভাইরাস ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। সঙ্গে শিশুদের নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৪৫০-৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় টানা দু'দিন শৈত্যপ্রবাহের পর মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।রোববার (২৮শে জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী বুধবার ৩১শে জানুয়ারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এস/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন