শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরস্ককে পর্যটন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:১০ অপরাহ্ন, ১৬ই মে ২০২৪

#

পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি। বৃহস্পতিবার (১৬ই মে) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই আহ্বান জানান। 

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগ পরিবেশের নিশ্চয়তা প্রদান করে। আমাদের দেশের শ্রমমূল্য অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট যৌক্তিক। আমাদের অফুরন্ত সম্ভাবনার একটি অভ্যন্তরীণ বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পে তুরস্কের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে তাদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে ও পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করলে এতে বিনিয়োগকারীগণ লাভবান হবেন। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক প্রাচীন। অন্যান্য অনেক শিল্পের মতো এভিয়েশন শিল্পেও দুই দেশের অংশীদারিত্ব রয়েছে। তবে দুই দেশের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্কে পরিণত করতে পারে পর্যটন শিল্প। আমাদের দুই দেশের যৌথভাবে এই শিল্পে অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। 

আরো পড়ুন: এভিয়েশন শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে কাজ করছে সরকার : বিমান মন্ত্রী 

ফারুক খান বলেন, পর্যটন শিল্প ব্যবস্থাপনায় তুরস্কের অনেক দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা চাই আমাদের দেশে পর্যটন শিল্পে কর্মরত কর্মীদের তুরস্ক যেন পর্যটন শিল্প বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করে। তুরস্কের সরকার প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা করার জন্য যে বৃত্তি প্রদান করে সেখানে পর্যটনকে বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় দুই দেশের সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করবে। 

সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণেই দিনদিন বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব বাড়ছে। আমরা এভিয়েশন শিল্পে দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে চাই। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্পে আমাদের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে। পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য আমি তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের সাথে কথা বলবো এবং তাদেরকে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করবো। 

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পর্যটন শিল্প ব্যবস্থাপনায় তুরস্কের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে কর্মরতদের সাথে শেয়ার করতে আগ্রহী। পর্যটন শিল্পে কর্মরত কর্মীদের যাতে পর্যটন শিল্পের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় সেই বিষয়ে আমি তুরস্কের প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলবো। প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবো। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে পর্যটনকে যেন আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয় সেই বিষয়টি আমি তুরস্কের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করবো। এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের অংশীদারিত্ব আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করবে।

এইচআ/ এনএম/  

পর্যটন বাংলাদেশ-তুরস্ক

খবরটি শেয়ার করুন