সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুর ঝুঁকি নিয়ে আবারও সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, ৪ঠা জুলাই ২০২৪

#

ফাইল ছবি

দেশজুড়ে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফের ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে। আর বর্ষা মৌসুমের এই বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর এ শঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলছে। শুধু শহর নয়, প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদে ডেঙ্গু ঝুঁকি বাড়লেও মশক নিধনে নেই তেমন কোনো তৎপরতা। অন্যদিকে আক্রান্ত হলেও রোগ নির্ণয়ে দেরি হওয়ায় জটিলতা বাড়ছে অনেক রোগীর। 

ডেঙ্গুর সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় শুরু হয়েছে নানা তৎপরতা। কীটনাশক ছিটিয়ে মশা মারার পাশাপাশি মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। করা হচ্ছে জেল-জরিমানাও। তবে দৃশ্যমান এসব তৎপরতার অধিকাংশই শহরকেন্দ্রিক। ডেঙ্গু কি শুধুই শহুরে রোগ?

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ শতাংশ। অথচ গত বছর এ সময়ে ঢাকার বাইরে রোগী ছিল ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২০২২ সালে ছিল ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ ঢাকার বাইরে আক্রান্তের হার বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। এমন প্রেক্ষাপটে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ঢাকার বাইরে থেকে আসতে শুরু করেছে রোগী, যাদের অধিকাংশই জটিল শারীরিক সমস্যা নিয়ে আসছেন। কারণ রোগ নির্ণয়ে কালক্ষেপণ বলছেন চিকিৎসকরা।

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে আসা রোগীদের অধিকাংশ সময় সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় হয় না। পরে বিষয়টি যখন তারা জানতে পারেন, তখন তারা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যান।

 এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, আমরা ডেঙ্গু বলতেই বুঝি, ঢাকা শহর! কিন্তু এই ধারণা থেকে সরে আসতে হবে। ২০২৩ সালে মূল ঝুঁকিটা ছিল ঢাকার ২ কোটি মানুষ। আর এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষই ঝুঁকিতে রয়েছেন। সুতরাং আমাদের কারিগরিভাবে সঠিক ও বাস্তবায়নযোগ্য একটি কর্মকৌশল দ্রুত প্রণয়ন করা দরকার। চলতি বছর এরই মধ্যে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজার। মারা গেছেন ৪৪ জন।

কেবি/ আই.কে.জে

ডেঙ্গু

খবরটি শেয়ার করুন