শুক্রবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখনও কেন ‘জলদস্যু আতঙ্কে’ এমভি আবদুল্লাহ?

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

এখনও জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ঝুঁকিমুক্ত হয়নি। ১৩ই এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টায় জলদস্যু মুক্ত হয় জাহাজটি। এরপর আরব আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে নাবিকরা। এখন জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৩৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে। এটি ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকা হিসেবে পরিচিত। আরও ১২১ নটিক্যাল মাইল চলার পর ঝুঁকিমুক্ত এলাকা পাবে এমভি আবদুল্লাহ। তখন দুশ্চিন্তাও কিছুটা কমবে নাবিকদের। এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজ পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এমভি আবদুল্লাহকে। জাহাজ মালিকের কাছে নাবিকদের পাঠানো প্রতিদিনের আপডেট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত জানান, এবার যাত্রা শুরুর আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে সেই এমভি আবদুল্লাহর। জাহাজের চারপাশে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের বেষ্টনী। অন্য কোনো জলদস্যু গ্রুপ যাতে জাহাজটি ফের আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য এমন নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে জাহাজটিতে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে নিরাপত্তা কুঠুরি ‘সিটাডেল’ও।

আরো পড়ুন : ঈদ ও নববর্ষে পদ্মা সেতুতে ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা টোল আদায়

বিষয়টি স্বীকার করে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, ‘সোমালিয়ার যে উপকূল থেকে নাবিকরা আরব আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল সেটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল। এজন্য আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। কাঁটাতারের বেষ্টনী যুক্ত করেছি’।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাঁটাতারের এই ব্যবস্থা জাহাজেই ছিল। আমাদের সব জাহাজে এমন প্রস্তুতি থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অতিক্রমের সময় আমরা সেটা ব্যবহার করি।’ 

তাহলে জলদস্যু আক্রান্ত হওয়ার সময় ব্যবহার করেননি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘আমাদের জাহাজ তখন হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। সোমালিয়ার উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি এলাকা। তখন আমরা ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিলাম। তাই আর্ম গার্ড নেইনি আমরা।’ গত রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও অভিন্ন কথা বলেন তিনি।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আশা করছি ২২শে এপ্রিল সেখানে নোঙর করবে এটি।’

গত ১২ই মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ১৪ই এপ্রিল জাহাজটি মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় জলদস্যুরা।

এস/ আই.কে.জে/

জলদস্যু এমভি আবদুল্লাহ

খবরটি শেয়ার করুন